বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা! ট্রাক্টরের চাকা পিষে দিল তিন বছরের শিশু কন্যাকে

মৌসুমী

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২২, ১০:৫৪ এএম | আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২২, ০৪:৫৪ পিএম

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা! ট্রাক্টরের চাকা পিষে দিল তিন বছরের শিশু কন্যাকে
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা! ট্রাক্টরের চাকা পিষে দিল তিন বছরের শিশু কন্যাকে

বেপরোয়া ট্রাক্টরের গতিতে প্রাণ গেল তিন বছরের শিশু কন্যার। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন ও শিশু কন্যার মামা গুরুতর যখন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গাংনদীয়া গ্রামে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে।

জানা গিয়েছে রবিবার রাতে মামা দিলখোশ আলীর (১৯) সঙ্গে বাইকে করে তিন বছরের সুহানা খাতুন গাংনোদিয়া বাজার থেকে বাড়ির দিকে ফিরছিল। সে সময় উল্টো দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসছিল একটি ট্রাক্টর। এরপরেই ট্রাক্টরটির বাইকটিকে মুখোমুখি ধাক্কা দেয়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক থেকে ছিটকে পরে দিলখোশ। ট্রাক্টর এর চাকার নিচে পড়ে পৃষ্ট হয়ে যায় ছোট্ট সুহানা।

সেখানে মৃত্যু হয় তিন বছরের শিশু কন্যার। স্থানীয়রা  দিলখোশকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাত পা ভেঙে গিয়েছে তার। পরবর্তীতে দিল ঘোষ কে পূর্ণিয়াতে স্থানান্তর করা হয়েছে, সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

এদিকে এই গোটা ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, রাস্তায় দুই ধারে মাটি ফেলে সমান করার দাবি জানানো হয়েছে বহুবার। কিন্তু কোন রকম কাজ হয়নি। একই সঙ্গে ট্রাক্টর এর যে ঠিকাদারি সংস্থা ছিল তার বিরুদ্ধে খুব রে দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় অত্যন্ত নিম্নমানের দ্রব্য দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে রাস্তার বেহাল দশা।

এদিকে এই ঘটনার পরেই পলাতক ওই ট্রাক্টরের চালক। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ডাক্তার থেকে ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, ওই ট্রাক্টর এর ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধেও।

আহত দিলখোশের পরিবার সূত্রে খবর, বছর দুই আগেই মৃত্যু হয়েছিল সুহানার বাবার। একমাত্র মেয়েকে অবলম্বন করেই দিন কাটাচ্ছিলেন তার মা। কিন্তু এখন এক রক্তের মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন তিনি। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সকলে। পরিবারের দাবি প্রশাসন যেন ওই ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা নেয়।