রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

অনুব্রত টিকিট কেনেননি! সিবিআই-র জেরায় মুখ খুললেন লটারি বিক্রেতা, ক্রমেই জট পাকাচ্ছে লটারি রহস্য

মৌসুমী

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২২, ০৯:৩০ এএম | আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২২, ০৩:৩০ পিএম

অনুব্রত টিকিট কেনেননি! সিবিআই-র জেরায় মুখ খুললেন লটারি বিক্রেতা, ক্রমেই জট পাকাচ্ছে লটারি রহস্য
অনুব্রত টিকিট কেনেননি! সিবিআই-র জেরায় মুখ খুললেন লটারি বিক্রেতা, ক্রমেই জট পাকাচ্ছে লটারি রহস্য

অনুব্রত মণ্ডলের লটারি জেতার প্রসঙ্গে তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে বোলপুরের ওই লটারির দোকানে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। এবার এই তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নের মুখেই বিস্ফোরক জবাব দিলেন ওই লটারি বিক্রেতা। যাতে আরও নতুন মোড় নিল এই কান্ড।

সিবিআই সূত্রে খবর, লটারি বিক্রেতা জানিয়েছেন তিনি কাকে লটারি বিক্রি করেছেন তা তার মনে নেই। তবে পরে অবশ্য তিনি বলেছেন তিনি অনুব্রত মণ্ডল কে কোন লটারি বিক্রি করেন নি। এদিকে এই ঘটনার পরেই যে এজেন্সির মাধ্যমে লটারি কাটা হয়েছিল তার নাম উঠে এসছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে একটি এজেন্সির মাধ্যমে লটারি কাটা হয়েছিল কিন্তু টাকা দিয়েছিল অন্য আরেকটি এজেন্সি। এখানে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে এভাবেই গরু পাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছিল।

এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, যেই এজেন্সি থেকে অনুব্রত মণ্ডলের নামে লটারির টিকিট কাটা হয়েছিল সেই এজেন্সির মালিক শেখ রাহুল গাঙ্গুলী এজেন্সি থেকে লটারি ভাঙিয়েছিলেন। এই গাঙ্গুলী এজেন্সির মালিক বাপি গঙ্গোপাধ্যায় কে আবার ইতিমধ্যেই নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন যে এক কোটি টাকা অনুব্রত মণ্ডল জিতেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে সেই টাকা জিতেছিলেন নাহিনা গ্রামের অন্য এক বাসিন্দা। তার কাছ থেকে ওই টিকিট সম্ভবত কিনে নেওয়া হয়েছিল পরে। এভাবেই কালো টাকা সাদা করা হতো কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করছে সিবিআই এর কর্তারা। এদিকে এই ঘটনায় বীরভূমের আরো কয়েকজন তৃণমূল নেতার নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে।