সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম মা ও মেয়ের! খুশির হাওয়া পরিবার জুড়ে, গর্বিত সারা বাংলা

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২, ০২:০৫ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২২, ০৮:০৫ পিএম

ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম মা ও মেয়ের! খুশির হাওয়া পরিবার জুড়ে, গর্বিত সারা বাংলা
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম মা ও মেয়ের! খুশির হাওয়া পরিবার জুড়ে, গর্বিত সারা বাংলা

মাত্র চার বছর ছ‍‍`মাস বয়সে ৫৮ সেকেণ্ডে সুস্পষ্ট উচ্চারণে দেশের ২৮টি রাজ্যের নাম, এই রাজ্যের ২৩টি জেলার নাম, ৩০টি দেশের রাজধানীর নাম, ছ‍‍`টি ঋতু, চারটি দিক সহ ১১৪ টি জিনিসের নাম বলে ‍‍`ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে‍‍` নিজের নাম তুলে ফেললো বাঁকুড়ার লোকপুরের ঐশানী পাত্র। সম্প্রতি বাড়িতে বসেই ৮.৫×১০ ইঞ্চির বরফের শিব লিঙ্গ তৈরি করে ‍‍`ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে‍‍` নিজের নাম নথিভূক্ত করেছিলেন ঐশানীর মা মা সঙ্গীতা পাত্র। এবার মায়ের দেখানো পথেই মেয়ে ঐশানীও ঐ রেকর্ড করে ফেলল।

ঐশানীর পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, ইন্দপুরের দুবরাজপুরের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে তারা বাঁকুড়া শহরের লোকপুর এলাকায় বাড়ি করে থাকছেন। ঐশানী একদম ছোটো থেকেই সবার চেয়ে ব্যতিক্রমী সে। মাত্র দেড় বছর বয়স থেকে ভালো করে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গান আর কবিতা আবৃত্তিতে তার ব্যাপক আগ্রহ।

এখন বয়স মাত্র ৪ বছর ৬ মাস। কিন্তু ছোট্ট বয়সেই গড়গড় করে ঐশানী বলে চলেছে দেশের ২৮টি রাজ্যের নাম, এই রাজ্যের ২৩টি জেলার নাম, ৩০টি দেশের রাজধানীর নাম, ৬টি ঋতুর নাম এবং ১১৪ টি জিনিসের নাম। তাও মাত্র ৫৮ সেকেন্ডে। তার এই প্রতিভার জেরে খুদে বয়সেই সে নাম নথিভুক্ত করে ফেলল ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’।

ইতিমধ্যে ‍‍`ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে‍‍`র তরফে ঐশানীদের বাঁকুড়ার বাড়িতে মেডেল, শংসাপত্র সহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী এসে পৌঁছায় বলে জানা গিয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বাড়িতে বসে ৮.৫×১০ ইঞ্চির বরফের শিব লিঙ্গ তৈরি করে ‘ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’ নিজের নাম নথিভুক্ত করেন সঙ্গীতা পাত্র। আর তার ঠিক দুমাসের মাথায় ‘ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম তুলল মেয়ে ঐশানী। এই জোড়া খ্যাতিতে গোটা পরিবার জুড়েই খুশির হাওয়া।

ঐশানীর বাবার কথায়, "আমরা চাইনা মেয়ে আমার ডাক্তার হোক বা ইঞ্জিনিয়ার। আমরা চাই সে শুধু মানুষের মতো মানুষ হোক।" অন্যদিকে সঙ্গীতা পাত্রও মেয়ে ঐশানী ওরফে ঐশীর সাফল্যে গর্বিত। তাঁর কথায়, “মা হিসেবে আজ সত্যিই গর্বের দিন। এই দিনটা আমার মতো পরিবারের সবার কাছে অত্যন্ত আনন্দের, গর্বেরও।" নাতনির এহেন সাফল্যে ঐশানীর ঠাকুরদা সুবোধ চন্দ্র পাত্র ও ঠাকুমা কল্পনা পাত্রও খুশিতে ডগমগ।