শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তায় থাকছে কারা? কবেই বা নির্বাচন? বড় ইঙ্গিত কমিশনের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২২, ০৭:৫৩ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০২:০০ এএম

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তায় থাকছে কারা? কবেই বা নির্বাচন? বড় ইঙ্গিত কমিশনের
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তায় থাকছে কারা? কবেই বা নির্বাচন? বড় ইঙ্গিত কমিশনের / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে শাসক থেকে বিরোধী দলগুলির। এদিকে, এই নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আবারও কি এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসার পরিবেশ তৈরি হবে বাংলায়? এসবের মধ্যেই এবার বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের দিন নিয়ে বড় ইঙ্গিত দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

কমিশন সূত্রের খবর, আগামী মার্চ-এপ্রিলেই হতে পারে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্বকালে এবারেও পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রাজ্য পুলিশ দিয়েই। এর আগে তৃণমূলের আমলে ২ বার যথাক্রমে ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে রাজ্যে। এই দুই নির্বাচনেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। ওই দুই নির্বাচনেই ভোটে নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ। তাও সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। কমিশনের ইঙ্গিতের পর, ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেই আশঙ্কা করছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি।

সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতেই জারি হতে পারে পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি। বুধবার ২০টি জেলায় আসন বিন্যাস সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে। জানা গিয়েছে, আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত এই ২০ জেলার মানুষ সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই আসন বিন্যাস নিয়ে অভিযোগ থাকলে তা জানাতে পারবেন। পাশাপাশি সংশোধনের কাজ জারি থাকবে আগামী ৭-১৬ নভেম্বর পর্যন্ত। উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হতে পারে। এছাড়াও ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রধান, উপপ্রধান, সভাপতি, সহ-সভাপতি, সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি পদ সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে। যা শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই।

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের ইঙ্গিতকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দল তৈরি। সংগঠন মজবুত রয়েছে। রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট যোগ্য শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে। মীরা পাণ্ডে একবার কোর্টে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে। কিন্তু আদালত তা মানেনি। ফলে রাজ্য পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত হলে কোনও বিতর্ক থাকার কথা নয়।’

উল্টোদিকে কমিশনের এই ইঙ্গিতে হিংসার আশঙ্কা করছেন বিরোধী দলের নেতারা। বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘সিবিআই, ইডি যেভাবে তৎপর তাতে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যেতে পারে। ফলে ওরা ঘরগুছিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে নামবে। পারলে মাধ্যমিকের আগেই সব সেরে নেবেন। কমিশনের অস্তিত্ব নেই। রাজ্য যা বলে ওরা তাই করে। আর রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হলে আবারও প্রহসন হবে। একতরফা ভোট হবে। ওরা জানে এছাড়া বাংলা দখল ওদের দ্বারা সম্ভব নয়।’

সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট মানেই ভোট লুঠের চেষ্টা। যেটা দেখেছি ত্রিপুরার পঞ্চায়েত ভোট বিজেপি করেছে, অতীতে সেটাই তৃণমূল করেছিল, ফের একই ঘটনা ঘটবে।’