শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

আসল কথাটাই বলা হয়নি! মুখ্যমন্ত্রী দোকান ছেড়ে যাওয়ার পর আফসোসে মাথায় হাত চপবিক্রেতার

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২২, ০২:০৬ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২২, ০৮:২০ পিএম

আসল কথাটাই বলা হয়নি! মুখ্যমন্ত্রী দোকান ছেড়ে যাওয়ার পর আফসোসে মাথায় হাত চপবিক্রেতার
আসল কথাটাই বলা হয়নি! মুখ্যমন্ত্রী দোকান ছেড়ে যাওয়ার পর আফসোসে মাথায় হাত চপবিক্রেতার

রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছেন বিনপুরের চপ বিক্রেতা বুদ্ধদেব মোহন্ত৷ মঙ্গলবার তাঁর চপের দোকানেই পা পড়েছিল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ সেখানে কড়াই-খুন্তি নেড়ে ডিমের চপও ভেজেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোকান ছেড়ে যাওয়ার পরই মাথায় হাত চপ বিক্রেতার৷ আফসোসের সীমা নেই তাঁর।

চপ, তেলেভাজা ইত্যাদি বিক্রি করে স্বনির্ভর হওয়ার কথা বারবার বলতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। এই পরিস্থিতিতে তিনি খোদ ওই বুদ্ধদেব বাবুর চপের দোকানে গিয়ে চপ ভাজা আলাদা করে মাত্রা এনে দেয়। মঙ্গলবার বিকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই চপের দোকানে পা রাখার পর এখন বিনপুরের মাগুরায় থাকা ওই চপের দোকান সম্পর্কে কেউ জানতে চাইলেই একডাকে তা দেখিয়ে দিচ্ছেন সবাই।

শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই চপের দোকানে পা রাখার পর বিক্রি বাটাও বেড়েছে। পর দিন সকাল ১০টার মধ্যেই সব চপ বিক্রি হয়ে যায়। তবে এসবের পরেও বুদ্ধদেব মহন্তর মনে খচখচানি থেকেই গেল। কারণ মঙ্গলবার বিকাল বেলায় মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়েও আসল কথাটাই বলতে ভুলে গিয়েছেন তিনি। কী আসল কথা?

আসলে নিজের অভাবের কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন ওই চপ বিক্রেতা৷ যেখানে সবাই মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানানোর ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয়ে ওঠে না, সেই জায়গায় বুদ্ধদেব বাবু মুখ্যমন্ত্রীকে হাতে পেয়েও তা মিস করলেন। কারণ চোখের সামনে এই রকম একজন ব্যক্তিত্বের হঠাৎ উপস্থিত হওয়ায় সবকিছু গুলিয়ে গিয়েছিল বছর ৩৫ এর বুদ্ধদেব বাবুর। তাই আর কথাটা বলা হয়ে ওঠেনি।

পরে অবশ্য নিজের মনের কথা জানান বুদ্ধদেব মোহন্ত। তিনি জানালেন, “আসলে দোকানটা ঠিক করার জন্য কিছু সাহায্য পেলে ভাল হতো৷ আরও ভাল ভাবে দোকান চালাতে পারতাম৷ কিন্তু তা আর বলে উঠতে পারিনি৷ এত কাছে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে সবকিছু কেমন গুলিয়ে গেল!”

তবে ওইদিন চপের দোকান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যাবার সময় তাঁর চপের সমস্ত দাম মিটিয়ে দিয়ে যান। একইসঙ্গে বুদ্ধদেব বাবুর হাতে অতিরিক্ত কিছু অর্থও দেন। চপ বিক্রেতা বলেন হাতে টাকা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, "তোমাকে তো আর চপ খাওয়াতে পারলাম না, মিষ্টি খেও৷" তাই সেটুকু মুহূর্ত সম্বল করেই নিজের আফসোস কাটাতে চাইছেন বুদ্ধদেব বাবু৷