সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

অবশেষে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন সৌমিত্র-সুজাতা! বিচ্ছেদের পথে যাত্রা শুরু

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ১০:৫৫ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ২১, ২০২২, ০৫:১৬ এএম

অবশেষে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন সৌমিত্র-সুজাতা! বিচ্ছেদের পথে যাত্রা শুরু
অবশেষে আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন সৌমিত্র-সুজাতা! বিচ্ছেদের পথে যাত্রা শুরু

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর। সৌগত রায় ও কুণাল ঘোষের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। শুধু তৃণমূলে যোগদান করাই নয়, তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বিজেপির উদ্দেশে একের পর এক অভিযোগ করেছিলেন তিনি। স্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে কেঁদে ফেলেছিলেন সৌমিত্র খাঁ।

চোখে জল নিয়ে বলেছিলেন, ‘তৃণমূল এত বড় চোর! বালি চুরি করত, কয়লা চুরি করত, গরু চুরি করত, শেষে আমার বউকেও চুরি করল।’ সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিলেন, সুজাতার সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্কও শেষ। এবার সেই সম্পর্কই খাতায়-কলমে শেষ করতে চলেছেন দুজনে। অবশেষে আইনি পথে হাঁটলেন সৌমিত্র-সুজাতা। জানা গিয়েছে, মিউচুয়াল ডিভোর্সের পথে হাঁটলেন সৌমিত্র খাঁ ও সুজাতা মণ্ডল। তবে আগে থেকেই চলছিল কনটেস্টেড ডিভোর্সের মামলা। এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন ডিভোর্সে রাজি না থাকলেও, অন্যজন আদালতে করতে পারেন মামলা। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ফের তাঁকে একই কেন্দ্রে প্রার্থী করে পদ্মশিবির। কিন্তু আদালতের নির্দেশে সেই সময় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রচারে যেতে পারেননি সৌমিত্র। তাঁর হয়ে প্রচারে নজর টানেন তাঁর স্ত্রী সুজাতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, স্ত্রী সুজাতার প্রচারে ভর করেই ওই লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন সৌমিত্র। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের কিছু সময় পর থেকেই শুরু হয় দুজনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। আলাদা থাকতে শুরু করেন দুজনে। এরপরই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা।  

২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেস সুজাতাকে প্রার্থীও করে। সে সময় থেকেই দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন গড়ায় আদালতে। শুরু হয় কনটেস্টেড ডিভোর্সের মামলা। কিন্তু এবার দুজনের বৈবাহিক সম্পর্কে পাকাপাকি ইতি টানতে দুজনেই আদালতে আবেদন জানালেন মিউচুয়াল ডিভোর্সের। এদিন সৌমিত্র খাঁ সশরীরে হাজির না হলেও, সুজাতা বাঁকুড়া জেলা আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে ওই মিউচুয়াল ডিভোর্সের আবেদন জানান।

 সুজাতা বলেন, ডিভোর্স আগেই হয়ে গিয়েছে। শুধু তাতে সিলমোহর দেওয়া বাকি। সৌমিত্র খাঁও আদালতে মিউচুয়াল ডিভোর্সের আবেদন জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। এদিন বিষয়টি নিয়ে তাঁর আইনজীবী মুখ খুললেও সৌমিত্র খাঁর কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

 সুজাতা বলেন, ‘কেস চলছিলই। আজ মিউচুয়াল ডিভোর্সের আবেদন ফাইল করলাম। এ জন্যই আজ এসেছিলাম। আমি লড়াইয়ের মঞ্চে রয়েছি। আগামীদিনেও লড়াইয়ের মঞ্চে থাকব। নিজের ব্যক্তি পরিচয় ইতিমধ্যেই মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছি।’ এরপরেই নাম না করে সৌমিত্রকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস ভাল লাগে আমার পরিচয়ে, আমার দয়া-দাক্ষিণ্যে কেউ পরিচিতি পেয়ে রয়েছে।’