শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

তপন কান্দু খুনে নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে! ব্যবহৃত অস্ত্র-শার্প শুটার ভাড়া করা হয়েছিল

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২২, ০১:৪২ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ১৫, ২০২২, ০৭:৪৪ পিএম

তপন কান্দু খুনে নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে! ব্যবহৃত অস্ত্র-শার্প শুটার ভাড়া করা হয়েছিল
তপন কান্দু খুনে নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে! ব্যবহৃত অস্ত্র-শার্প শুটার ভাড়া করা হয়েছিল

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের তদন্ত করছে সিবিআই হাইকোর্টের নির্দেশে। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি শুরু থেকেই। এবার এই তদন্তে নয়া মোড় এসেছে। সিবিআই-এর হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই জানতে পেরেছে যে, কংগ্রেস কাউন্সিলরকে খুনের ছক করা হয়েছিল। আর পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছিল কলেবর সিং। এই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। 

এই কলেবর সিং নিজেই এলাকায় এসে খুনের আগে রেইকি করে গিয়েছিল। এরপর ভাড়া করা হয়েছিল খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র। আর শার্প শুটার আনা হয়েছিল। সবটাই হয়েছিল কলেবর সিং-এর হাত ধরে। 

এবার জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী কী তথ্য পেল সিবিআই? সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কলেবর সিংকে জেরা করেই উঠে এসেছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের কথা। এর পাশাপাশি শার্প শুটার ভাড়া করে আনা হয় তপন কান্দুকে খুন করার জন্য। ঝাড়খণ্ড থেকে ১ লক্ষ টাকার অস্ত্র ভাড়া করে আনা হয়েছিল। আর শার্প শুটারকে আনা হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। 

কীভাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এল এই তথ্য? সূত্রের খবর, কলেবর সিংকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এই কলেবর সিং তপন কান্দু খুনের দিন সেখানেই ছিল। মোট তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল তপন কান্দুর উপর। সেই গুলি লাগার পরই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এটা দেখার পরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় শার্প শুটার। এরপর তাঁকে মোটর বাইকে করে ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত কলেবর সিং।

জানা গিয়েছে, ওই শার্প শুটারের ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাদেশে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু কে এই শার্প শুটার তা এখনও জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। এদিকে, ইতিমধ্যেই ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে সাড়ে ৭ ঘন্টা জেরা করেছে সিবিআই। এমনকি তপন কান্দুর বন্ধু, যিনি ঘটনার দিন তাঁর সঙ্গেই ছিলেন এবং সম্প্রতি মারা যান, সেই নিরঞ্জন বৈষ্ণবের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। আর মাঝেই সিবিআই-এর হাতে এল এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।