শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ফুচকার পর এবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মোমো বানালেন মমতা! পাহাড়ে নানা মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২২, ০১:৩১ পিএম | আপডেট: জুলাই ১৪, ২০২২, ০৭:৩১ পিএম

ফুচকার পর এবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মোমো বানালেন মমতা! পাহাড়ে নানা মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী
ফুচকার পর এবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মোমো বানালেন মমতা! পাহাড়ে নানা মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফুচকার পর এবার মোমো বানালেন মুখ্যমন্ত্রী! প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মোমো বানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে বেরিয়ে রিচমন্ড হিলের একটি দোকানে সরাসরি ঢুকে গিয়ে বানালেন মোমো। দোকানের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গেই একেবারে বেঞ্চে বসে হাতে তুলে নিলেন চাকি-বেলনা, ময়দা বেলে মোমো বানালেন তিনি। এই দৃশ্য সত্যিই ভাবা যায় না। 

একেবারে অন্য মেজাজে ধরা দিলেন তিনি। বিশেষ করে যখন ভানু ভবনে GTA-র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের তোড়জোড় চলছে, তখন রাস্তার দোকানে এভাবে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর মোমো তৈরির ঘটনা এককথায় নজিরবিহীন। এমনটাই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ। মত পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলের।

এদিন সকালে পাহাড়ের রাস্তায় বেরিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিচমন্ড হিলের রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন টিঙই। সেই সময় আচমকাই একটি মোমোর দোকানের সামনে থেমে যান। এরপর সোজা ঢুকে পড়েন দোকানের ভিতরে। দোকানির সঙ্গে প্রাথমিক আলাপচারিতা সেরে নিয়ে, হাত লাগান মোমো তৈরিতে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে মোমো তৈরি করতে দেখে চমকে যান দোকানি এবং তাঁর সহকারীরা। 

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে দার্জিলিঙের রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণে বেরোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিচমন্ড হিল থেকে সিংমারিতে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা পর্যন্ত হেঁটে যান তিনি। চলার পথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তার পাশে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ-খবর নেন, তাঁদের সঙ্গে হাত মেলান। এরপরই এক দোকানে ঢুকে মোমো তৈরি করত লেগে পড়েন। 

এই ধরনের ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। মঙ্গলবারই একটি ফুচকার দোকানে ঢুকে ফুচকা তৈরি করেছিলেন তিনি। সেই ফুচকা শিশুদের পাশাপাশি বানিয়ে খাওয়ান এক বাংলাদেশি পর্যটককেও। আবার এর আগের বারের পাহাড় সফরে রিচমন্ড হিলেরই একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দোকানে ঢুকে মোমো তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, পাহাড় সফর সেরে বৃহস্পতিবারই কলকাতায় ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।