বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

দিঘার সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে জালে উঠল কোটি টাকার তেলিয়াভোলা! বরাত খুলে গেল মৎস্যজীবীদের

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২, ০২:৩৮ পিএম | আপডেট: মে ২৯, ২০২২, ০৬:২৩ পিএম

দিঘার সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে জালে উঠল কোটি টাকার তেলিয়াভোলা! বরাত খুলে গেল মৎস্যজীবীদের
দিঘার সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে জালে উঠল কোটি টাকার তেলিয়াভোলা! বরাত খুলে গেল মৎস্যজীবীদের

সমুদ্র সৈকত থেকে জালে উঠল ১২০টি তেলিয়া ভোলা মাছ। আর তাতেই রাতারাতি বদলে গেল মৎসজীবীদের ভাগ্য৷ কারণ, জালে ওঠা সব ক’টি মাছের মূল্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা। হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও তা সত্যি! ঘটনাটি ঘটেছে দিঘাতে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে।

 

জানা গিয়েছে, এদিন দিঘার মোহনার মাছ ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন খাঁড়ার মা সিদ্ধেশ্বরী নামের ট্রলারে চেপে একদল মৎসজীবী  মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে পাড়ি দেন। সমুদ্রের জলে জাল ফেলতেই ১২০টি পূর্ণবয়স্ক তেলিয়া ভোলা মাছ উঠে আসে। মৎস্যজীবীরা এরপর ফিরে আসেন দীঘার মোহনায়। এদিকে একসঙ্গে এতগুলি তেলিয়া ভোলা মাছ পাওয়ার খবর পেয়ে তা দেখার জন্য ভীড় জমে যায়৷ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকদের ভীড় উপচে পড়ে সেখানে।

 

মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে তেলিয়া ভোলা মাছগুলির দাম প্রায় কয়েক কোটি টাকার কাছাকাছি। কিন্তু এই মাছগুলির এত আকাশছোঁয়া মূল্য কেন? জানা গিয়েছে, এই সকল মাছের পেটে থাকা পটকার কারণেই মাছগুলি এত দাম। কারণ, মাছের পেটে থাকা সেই পটকা থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন ঔষধি জিনিসপত্র। ক্যাপসুল থেকে চিকিৎসায় ব্যবহৃত সুতো অর্থাৎ অপারেশনের পর যে সুতো ব্যবহার করা হয়, সেই সবকিছুই তৈরি হয় এই পটকা থেকে। তার ফলেই মাছগুলি এমন দুর্মূল্য।

 

মৎসজীবীরা মোহনায় ফেরার পর  মাছগুলিকে নিলামের জন্য ভুবনচন্দ্র বেরা নামে এক মৎস্যজীবীর কাঁটায় নিয়ে আসা হয়৷ তখনই জানা যায় মাছগুলির এক একটির ওজন প্রায় ১৮ কেজির মতো। তবে নিলামে শেষ পর্যন্ত মাছগুলির মোট দাম কত হয়েছে সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। যদিও কয়েক কোটি টাকাতেই তা বিক্রি হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা। অবশ্য এবারই যে প্রথম দিঘায় তেলিয়াভোলা মাছ জালে উঠল, এমনটা কিন্তু নয়। এর আগেও দিঘাতে বিপুল সংখ্যক তেলিয়াভোলা মাছ মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে। গত বছর সুন্দরবনের মোহনা থেকেও উঠে এসেছিল একটি দৈত্যাকার মাছ। মাছটির দৈর্ঘ্য ছিল সাত ফুট এবং ওজন প্রায় ৭৮ কেজি। সেই মাছটি বিক্রি হয়েছিল ৪০ লক্ষ টাকায়। এবার ফের একবার দিঘাতে ধরা পড়ল বহুমূল্যের ‍‍`সম্পদ‍‍` এই মাছ।


প্রসঙ্গত, বছরের এই সময়টা মৎসজীবীদের মন্দা চলে৷ করোনা অতিমারির কারণে বর্তমানে দিঘায় পর্যটকের আনাগোনাও কমেছে৷ এর মধ্যে বিপুল সংখ্যক তেলিয়া ভোলা মাছ জালে ওঠার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া মৎসজীবীদের মধ্যে। তাঁদের মুখে ফুটেছে হাসি।