শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মহুয়া মৈত্র! দেখা করে কী বললেন সাংসদ?

আত্রেয়ী সেন | মলয় দে

প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২২, ০৪:৪৫ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ১২, ২০২২, ১১:৩৪ পিএম

হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মহুয়া মৈত্র! দেখা করে কী বললেন সাংসদ?
হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মহুয়া মৈত্র! দেখা করে কী বললেন সাংসদ?

নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়াঃ এদিন হাঁসখালি গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কথা বললেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন,এটা উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ নয়। যে ঘটনা ঘটেছে তাঁকে আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। এর মধ্যে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। পুলিশ তদন্ত করছে। দল কোনওভাবেই এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না।’

এদিন সকালেই হাঁসখালি যান তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আজই হাঁসখালি যাওয়ার কথা। ঘটনাচক্রে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আগেই হাঁসখালিতে নির্যাতিতার পরিবারের কাছে পৌঁছে যান তৃণমূল সাংসদ মহুয়া। এদিকে,  ইতিমধ্যেই হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সহ তার এক বন্ধু গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে এই ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। 

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়াকে নির্দেশ দেন যে, ওই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য। দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা নিয়ে মহুয়া ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাঁসখালির নির্যাতিতার বাড়ি যান বলেই দলীয় সূত্রের খবর। এদিন নির্যাতিতার বাড়ি পৌঁছানোর আগে মহুয়া বলেন, ‘নদিয়া জেলার একজন সাংসদ হিসাবে হাঁসখালির ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।’ এদিন সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘নাবালিকার মৃত্যু খুবই দুঃখজনক দুষ্কৃতী ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে। পাশাপাশি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার এক বন্ধুও গ্রেফতার হয়েছে। আমি বলব এক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ইম্পর্টেন্ট নয়। শাস্তি দেওয়া হবে মূল লক্ষ্য।


অভিযোগ, গত ৪ এপ্রিল রাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক নাবালিকা। ৫ এপ্রিল ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলেকে। ইতিমধ্যেই এই ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু ক্রেছে। কীভাবে ময়নাতদন্ত এবং মৃত্যুর শংসাপত্র ছাড়াই নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে ফেলা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।  ‘এ বিষয়ে প্রমাণ খুব কম পাওয়া যাচ্ছে। তার কারণ এমন ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ উঠে আসে। পুলিশ সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত করার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। যেহেতু মৃত ১৪ বছরের নাবালিকা সেই কারণে তার সম্মতি থাকলেও, রেপ করা আইনত অপরাধ। তাই দোষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বাকিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই সমস্ত দোষীরা ধরা পড়বে এবং শাস্তি পাবে।’