মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

অভাবের তাড়নায় নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছিলেন মা-বাবা! বিয়ে রুখে দরিদ্র পরিবারের দায়িত্ব নিল পুলিশ

মৌসুমী

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২, ০৪:০৫ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২২, ১০:০৫ পিএম

অভাবের তাড়নায় নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছিলেন মা-বাবা! বিয়ে রুখে দরিদ্র পরিবারের দায়িত্ব নিল পুলিশ
অভাবের তাড়নায় নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছিলেন মা-বাবা! বিয়ে রুখে দরিদ্র পরিবারের দায়িত্ব নিল পুলিশ

ফের একবার মানবিক রূপ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের। নাবালিকার বিয়ে আটকে দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা। এই ঘটনাতে রীতিমতো প্রশংসা করিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ১৪ বছরের এক কিশোরী। পেটের  দায়ে তার বাবা  পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন রাজস্থানে। মায়ের সঙ্গে গ্রামে একাই থাকেন ওই কিশোরী। তাদের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে এলাকার মানুষের কাছ থেকে ধার করেে চেয়ে কোনমতে সংসার চলে। এরপরে বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেন মেয়ের বিয়ে দেবেন।

এদিকে যেমন ভাবা তেমন কাজ। ১৪ বছরের নাবালিকার বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতেই মেয়েকে নিয়ে রাজস্থানে বাবার কাছে যাচ্ছিলেন মা। সেখানে গিয়ে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ওই দম্পতির। এদিকে এই খবর হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কানে পৌঁছতেই তৎপর হলো প্রশাসন।

রাজস্থানে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আগেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। মেয়েটিকে বিবাহ দিতে বারণ করা হয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে। একইসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানায়, ওই পরিবারের সবরকম দায়িত্ব এবার থেকে থানার। ওই কিশোরীর মা কে একটি কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের এই উদার মানসিকতা দেখে প্রশংসা করেছে এলাকাবাসী।