শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলার তাঁতের নয়া ব্র্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর! প্রতি জেলায় ‘বাংলার শাড়ি’ স্টোর খোলার নির্দেশ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২, ০৪:১৮ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২২, ১০:১৮ পিএম

বাংলার তাঁতের নয়া ব্র্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর! প্রতি জেলায় ‘বাংলার শাড়ি’ স্টোর খোলার নির্দেশ
বাংলার তাঁতের নয়া ব্র্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর! প্রতি জেলায় ‘বাংলার শাড়ি’ স্টোর খোলার নির্দেশ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলার প্রসিদ্ধ তাঁত শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন ভাবনাচিন্তা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নিজস্ব স্টাইলের শাড়িকে ‘বাংলার শাড়ি’ বলে ব্র্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, এক্ষেত্রে প্রথমেই স্পষ্ট করে দেন যে, তন্তুজ বা মঞ্জুষার থেকে এটা সম্পূর্ণ আলাদা হবে।

এদিন প্রশাসনিক সভায় তিনি বাংলার বিভিন্ন জেলার শাড়িকে এক ছাদের নিচে নিয়ে এসে ‘বাংলার শাড়ি’ নামে জেলায় জেলায় একটি করে স্টোর খোলার নির্দেশ দেন। বিশ্ববাংলার পরে এবার বাংলার ঘরের শাড়িকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনায় তিনি ‘বাংলার শাড়ি’ নামে ব্র্যান্ডিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে বাংলার তাঁতিদের আয়ও বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। এতে আরও বিক্রি বাড়বে বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই নিয়ে সবার আগে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। এদিন রানাঘাটের এক প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, “প্রথমে কী কী শাড়ি হয় এটা এক জায়াগায় করে একটা নথিভুক্ত করুন। যারা এটা নিয়ে আগ্রহী। যেমন মহুয়া (মৈত্র), অসীমা এদের নিয়ে একটা কমিটি তৈরি করুন। ওরা তাঁতের জেলার মানুষ। শাড়িটা ভালো বোঝে। অনেক আইডিয়া দিতে পারবে। ধনেখালি, শান্তিপুর, ফুলিয়া, মুর্শিদাবাদ সিল্ক সহ যা যা বাংলায় বোনা হয় সেটা নিয়ে ‍‍`বাংলার শাড়ি ‍‍`স্টোর করুন। সেখানে বাড়িতে পরার তাঁতও থাকবে আবার সিল্ক, মসলিন, ঢাকাইও থাকবে। এককথায় এক ছাদের নীচে বাংলার তৈরি হওয়া সমস্ত শাড়ি পাওয়া যাবে।”

এখানেই শেষ নয়, বাংলার শাড়িকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা-চিন্তা আরও সুদূরপ্রসারী। তিনি বলেন, ‘শুধু জেলায় জেলায় দোকান নয়। প্রত্যেক বড় বড় মেলায় বাংলার শাড়ির যেন একটা করে স্টল থাকে। তাহলে তাতে বিক্রিও হয়ে যাবে। পুজোর স্টক ক্লিয়ারেন্স হয়ে গিয়েছে। এখন শীতকাল আসছে। একটার পর একটা মেলা আছে। সেখানে স্টল দাও তাহলে আর লাভের জন্য তাঁতিদের কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না।’

উল্লেখ্য, এমনিতেই বাংলার তাঁতিদের হাতের কাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুবই পছন্দের। তা তিনি একাধিকবার বহু প্রসঙ্গে বলেছেন। তিনি নিজেও বাংলার তাঁত শিল্পীদের বোনা শাড়ি ছাড়া অন্য কিছু পড়েন না, তাও জানিয়েছেন।