নিজস্ব প্রতিবেদনঃ একুশের সমাবেশে মুড়ি সহ একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর জিএসটি বসানোর প্রতিবাদে বিজেপিকে একহাত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই মাঝে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে মুড়ি চেয়ে বসেন তিনি। তাঁর কথা মতই এক থালা মুড়ি এগিয়ে দেন আউসগ্রামের দেবাশিস মুখোপাধ্যায় এবং নিরঞ্জন পাল। এবার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ছোঁয়া সেই মুড়িই প্রসাদ হিসাবে বিলি করা হল পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের তেলোতা গ্রামে।
শুক্রবার স্থানীয় তৃণমূল-কংগ্রেসের কর্মীদের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে মুড়ি বিতরণের আয়োজন করা হয়। আউসগ্রামের দিগনগর ১ নম্বর অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা সামিল হন এই মুড়ি ভোজে। মুড়ির সঙ্গে দেওয়া হয় আলুর তরকারিও। মুখ্যমন্ত্রীর হাতের স্পর্শ করা এই মুড়ি প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করেন এলাকার বাসিন্দারা।
২১ জুলাই ধর্মতলায় আয়োজিত শহীদ স্মরণ সভামঞ্চে উপস্থিত হন তেলোতা গ্রামের ৩০ জনের একটি দল। জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় টিফিনের জন্য কিছু মুড়ি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই গ্রামের যুব তৃণমূল কর্মী দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। সভায় বক্তব্যের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী যখন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে মুড়ি চেয়ে বসেন, তখন জলযোগের জন্য আনা মুড়ির থালা মুখ্যমন্ত্রীর দিকে বাড়িয়ে দেন দেবাশিস বাবু। যদিও সেই মুড়ি পরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবুও সেই মুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে স্পর্শ তো রয়েছে! অতঃপর দেবাশিস ও নিরঞ্জন সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ছোঁয়া মুড়ি আউশগ্রামে ফেরত নিয়ে যাবেন। প্রসাদ হিসাবে বিলি করবেন এলাকায়।
শুক্রবার সকালে কার্যত মুড়ি উৎসবে মেতে ওঠে গোটা তেলোতা গ্রাম। দিগনগর ১ নম্বর অঞ্চলের প্রায় সমস্ত বুথের কর্মীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। এলাকার মানুষজনদের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ছোঁয়া মুড়ি বিতরণের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য মুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। মুড়ি কিনে তার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর হাতে ছোঁয়া মুড়ি। সঙ্গে ছিল আলুর তরকারি, মিষ্টিও। সকলে মিলে উৎসবের মেজাজে কাটান দিনটি।
সম্প্রতি নতুন করে বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর জিএসটি আরোপ করেছে মোদী সরকার। আর এই বিষয়টি নিয়ে সভা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। সর্বসমক্ষে প্রশ্ন তোলেন, “মুড়িতেও এখন জিএসটি। মানুষ খাবে কী? আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও নইলে বিজেপি বিদায় নাও।”
আপনার মতামত লিখুন :