শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

প্রকাশিত হল ২০১৭-র টেটের ফলাফল! ২০১৪-র ফল প্রকাশ কবে? কী জানালো পর্ষদ?

মৌসুমী

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২, ১০:৪৬ এএম | আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২২, ০৪:৪৬ পিএম

প্রকাশিত হল ২০১৭-র টেটের ফলাফল! ২০১৪-র ফল প্রকাশ কবে? কী জানালো পর্ষদ?
প্রকাশিত হল ২০১৭-র টেটের ফলাফল! ২০১৪-র ফল প্রকাশ কবে? কী জানালো পর্ষদ?

অবশেষে প্রকাশ করা হলো ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের নম্বর। সোমবার পর্ষদের ওয়েবসাইটে নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের নম্বরও প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফে।

 নম্বর প্রকাশ করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় প্রার্থী কত নম্বর পেয়েছে, আমরা সেটা দিয়ে দেব। ২০১৭ সালের টেট-এ উত্তীর্ণদের নম্বর আজই প্রকাশ করে দেওয়া চেষ্টা করছি। আশা করছি, ২০১৪ সালের ক্ষেত্রে এই সপ্তাহের মধ্যেই নম্বর জানিয়ে দিতে পারব। যদি কাজ শেষ করতে পারি, তার আগেও জানিয়ে দিতে পারি।" তবে শংসাপত্র এখনই দিচ্ছে না পর্ষদ। যদিও এতে কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানানো হয়েছে।

২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতামান নির্ণায়ক টেট-এ অংশগ্রহণ করেছিলেন ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫১৪ জন। উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৮৯৬ জন। হাই কোর্টের নির্দেশে ৮২ নম্বর পাওয়া প্রার্থীদেরও উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১১ হাজার ৭৬৫ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

পর্ষদের ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীর নম্বর প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। নাম, রোল নম্বর, ক্যাটেগরি ও টেট-এ প্রাপ্ত নম্বর দেওয়া হয়েছে সেই তালিকায়।এদিন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী, শংসাপত্রে নম্বর দেওয়া থাকে। প্রার্থীদের দাবি যথার্থ। কারণ, টেট-এর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কত নম্বর পাবেন তা নির্ভর করছে।’’

প্রাপ্য নম্বর প্রকাশের দাবিতে বারবার সরব হয়েছে ২০১৪ ও ২০১৭সালের টেট পরীক্ষার্থীরা। এমনকি এই নিয়ে আদালতে মামলাও করেছে তারা। এবার সেই অচলাবস্তাই কাটতে চলেছে। চাকরির দাবিতে সল্টলেক করুণাময়ীতে অনশনে বসেছিলেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। তখন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা দুবার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, তাই ২০১৬ সালের নিয়ম নীতি মেনে নিয়োগ হবে। কোনভাবেই এই আইন ভাঙ্গা সম্ভব নয়। এরপরে আন্দোলন আরো বড় আকার নেয়। জোর করে আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়া হয় সেখান থেকে।