শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

লুকিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না! রেণুর হাত কাটার ঘটনায় গ্রেফতার দুই ভাড়াটে খুনি

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২, ০১:৩০ পিএম | আপডেট: জুন ৯, ২০২২, ০৭:৩৬ পিএম

লুকিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না! রেণুর হাত কাটার ঘটনায় গ্রেফতার দুই ভাড়াটে খুনি
লুকিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না! রেণুর হাত কাটার ঘটনায় গ্রেফতার দুই ভাড়াটে খুনি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কেতুগ্রামকাণ্ডে বড় পদক্ষেপ পুলিশের। লুকিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না। অবশেষে গ্রেফতার রেণু খাতুনের হাত কাটার ঘটনায় জড়িত দুই ভাড়াটে খুনি। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার তালগ্রামের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার এই দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম হাবিব শেখ এবং অপর ব্যক্তির নাম আশরাফ আলি শেখ। এই দুই জনকে গ্রেফতারের পর, পুলিশের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে, তদন্ত আরও গতি পাবে। এই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে রেণুর স্বামী শের মহম্মদ, শ্বশুর এবং শাশুড়িকেও। এবার গ্রেফতার হল দুই ভাড়াটে খুনিকে। এরা ছাড়াও এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আজ যে দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা রেণুর স্বামী শের মহম্মদের পূর্ব পরিচিত ছিল বলেই জানা গিয়েছে। অভিযোগ, শনিবার রাতে শেষ মহম্মদ যখন রেণুর ডান হাতের কব্জি কাটছিল, সেই সময় এই হাবিব শেখ এবং আশরফ আলি শেখ তাকে সাহায্য করেছিল। রেণুর স্বামীকে জেরা করে এই দু’জনের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই মতোই তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। এরপর এদিন তাদের দুজনকেই গ্রেফতার করা হল। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হল। রেণুর স্বামী এবং শ্বশুর, শাশুড়ি রয়েছে পুলিশি হেফাজতে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্ত জানিয়েছে যে, স্ত্রী যাতে সরকারি চাকরি না করতে পারে তার জন্য ভাড়া করা লোক নিয়ে এসে স্ত্রীর হাত কেটে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল শের মহম্মদ। তার উদ্দেশ্যেই ছিল স্ত্রীর সরকারি চাকরিতে বাধা। খুন করা নয়, সাংঘাতিকভাবে জখম করাই ছিল রেণুর স্বামীর মূল উদ্দেশ্য। রেণু আগেই জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সেদিন হাত কাটার ঘটনায় আরও দু’জন জড়িত ছিল। তাদের নাম তিনি না জানলেও, মুখ দেখলে চিনতে পারবেন বলেও জানিয়েছিলেন।

রেণুর বয়ান অনুযায়ী, শের মহম্মদের ধারণা ছিল স্ত্রী সরকারি চাকরি পেলে সংসার ছেড়ে চলে যাবে। তাই স্ত্রীকে বারবার সরকারি চাকরি করতে নিষেধও করেছিল সে। কিন্তু রেণু সেই কথায় আমল দেননি। তাই এই কাণ্ড ঘটায় সে। এদিকে, জানা গিয়েছে যে, মাসতুতো ভাইয়ের মাধ্যমেই এই দুই ভাড়াটে খুনির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল শেষ মহম্মদের। এরপর এঁদের সঙ্গে মিলেই স্ত্রীর হাত কেটে নেয় রেণুর স্বামী। শের মহম্মদকে গ্রেফতার করার পর থেকেই পুলিশ এই দুই যুবকের খোঁজ করছিল। অবশেষে এদিন ওই দুইজন গ্রেফতার হল।