সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

বগটুই হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মিহিলাল শেখের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২২, ০৫:২৮ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২২, ১১:৩৪ পিএম

বগটুই হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মিহিলাল শেখের
বগটুই হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মিহিলাল শেখের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বগটুই হত্যাকাণ্ড এখনও রাজ্যের মানুষের স্মৃতিতে টাটকা। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব প্রথমে রাজ্য সরকারের গঠন করা সিট নিলেও, পরে হাইকোর্টের নির্দেশ তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। 

এবার বগটুই হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড় সামনে এল। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ওই ঘটনায় মৃত পরিবারের আত্মীয় মিহিলাল শেখ। তাঁর দাবি, তৃণমূল বিধায়ক আশিস ব্যানার্জির নির্দেশেই বগটুইয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আনারুল হোসেন। মিহিলাল শেখের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস ব্যানার্জি। আনারুল হোসেন তাঁর খুব কাছের লোক, তাঁর ভাইপোর কাছের লোক বলেও এলাকায় পরিচিত। 

মঙ্গলবার অর্থাৎ এদিন বগটুইয়ে নিজের বাড়িতেই ক্যামেরার সামনে একাধিক অভিযোগ করেন মিহিলাল শেখ। এদিন তিনি ক্যামেরার সামনে দাবি করেন যে, তৃণমূল বিধায়ক আশিস ব্যানার্জির কথাতেই আনারুল হোসেন এই গণহত্যা চালিয়েছে। আশিস ব্যানার্জির জন্যই জেলে আসামিরা আরামে আছে বলেও দাবি করেছেন মিহিলাল শেখ। তিনি আরও বলেছেন যে, জেলে আসামিদের খাবারও নাকি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। 

এখানেই শেষ নয়, তাঁর আরও দাবি, তাঁদের পরিবারের ছেলেরা, যাদের আপনজন সেই ঘটনায় মারা গিয়েছে, সেইসব ছেলেদের জেলে রাখা হয়েছে। সব কিছুর পিছনেই রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক আশিস ব্যানার্জি। এমনটাই মিহিলালের দাবি। তিনি অভিযোগের সুরে বলেন যে, বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর এতদিন কেটে গেলেও, বিধায়ক হিসেবে একবারও তাঁদের খোঁজ নেননি আশিস ব্যানার্জি। মহিলাল বলেন, ‘আশিস ব্যানার্জি আমাদের উপরে অত্যাচার করেছে। ওর কাছে আমরা গিয়েছিলাম। আনারুলকে ব্লক সভাপতি হিসেবে রেখে দিয়েছিল ওই আশিস ব্যানার্জিই। এর আগে আমাদের উপরে অত্যাচারের প্রতিকার চেয়ে আশিস ব্যানার্জির কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’

অন্যদিকে, রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ওঠা এইসব বিস্ফোরক অভিযোগের প্রসঙ্গে খোদ বিধায়ক আশিস ব্যানার্জি জানিয়েছেন, সবটাই মিথ্যে। তিনি বলেন, ‘মিহিলালকে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি না। ও যেসব কথা বলেছে সেইসব অভিযোগের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করি না। এখন মনে হচ্ছে, কারও কোনও শেখানো বুলি উনি বলছেন। ঘটনার একমাস পর যখন উনি এসব বলছেন তখন তা শেখানো বুলি-ই। ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতা থেকে ফিরহাদ হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে আমি বগটুই এসেছিলাম। যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন সেদিনও বগটুই গিয়েছিলাম। উনি যেসব কথা বলছেন তার একটা প্রমাণ দেখান। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত নই।’