শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

ছাগলের লোভই কাল হল! অবশেষে খাঁচাবন্দি রয়্যাল বেঙ্গল, স্বস্তিতে এলাকাবাসী

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ১০:২৮ এএম | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ১০:৫৮ এএম

ছাগলের লোভই কাল হল! অবশেষে খাঁচাবন্দি রয়্যাল বেঙ্গল, স্বস্তিতে এলাকাবাসী
ছাগলের লোভই কাল হল! অবশেষে খাঁচাবন্দি রয়্যাল বেঙ্গল, স্বস্তিতে এলাকাবাসী / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ছাগলের লোভই কাল হল দক্ষিণরায়ের জন্য। ছাগলের টোপ দিতেই অবশেষে খাঁচাবন্দি করা গেল কুলতলির বাঘকে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে বন দফতরের পাতা জালে ধরা পড়ল দক্ষিণরায়। এই মুহূর্তে স্বস্তিতে কুলতলির মানুষ। 

বুধবার কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ি-দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পেটকুল চাঁদ ও সাবুর আলি কাটা এই দুই জায়গার মাঝখানের ম্যানগ্রোভ বাদাবনে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান এলাকাবাসী। এরপরই এলাকার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। 

খবর পেয়ে, বন দফতরের রায়দিঘি রেঞ্জের অন্তর্গত কুলতলি বিটের বনকর্মীরা বাঘের পায়ের ছাপ খুঁজতে শুরু করেন। কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়েই তাঁরা বাঘটিকে বন্দি করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বন দফতরের এডিএফও অনুরাগ চৌধুরীও ঘটনাস্থলে যান। যে এলাকার মধ্যে বাঘটির থাকার সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছিল, সেই এলাকাকে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর সন্ধের সময় সেখানে একটি লোহার খাঁচা রাখা হয়। সঙ্গে বাঘটিকে ধরতে দেওয়া হয় ছাগলের টোপ। তাতেই কেল্লাফতে! এরপর ভোররাত ৩ টে নাগাদ সেই ছাগলের লোভেই খাচাবন্দি হয় বাঘটি। 

এদিকে, খাঁচাবন্দি হতেই দক্ষিণরায়ের গর্জন শুনতে পান এলাকাবাসী এবং বন দফতরের কর্মীরা। তাঁরা গিয়ে দেখেন, খাঁচায় বন্দি হয়েছে বাঘটি। তখন খাঁচা সমেত বাঘটিকে নিয়ে বন দফতরের বোট রওনা হয় সুন্দরবনের বনি ক্যাম্পের উদ্দেশে। জানা গিয়েছে, সেখানেই বাঘটির শারীরিক পরীক্ষা হবে। পরে বন দফতরের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ পেলেই, বাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে আসা হবে। 

অন্যদিকে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গল থেকেই বাঘটি কোনভাবে পেটকুলচাঁদ ও সাবুর আলি কাটা এলাকার দিকে চলে আসে। এদিকে, এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে, আপাতত বাঘটিকে ধরা সম্ভব হওয়ায়, মানুষ স্বস্তিতে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাধিক জেলাতে লোকালয়ে বাঘের ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ ও চিন্তা বাড়ছে।