শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘মালদহের কালিয়াচকে হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরণ চলছে’! বিস্ফোরক দাবি সুকান্ত মজুমদারের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২২, ০৮:০৫ পিএম | আপডেট: মে ১৬, ২০২২, ০২:১৭ এএম

‘মালদহের কালিয়াচকে হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরণ চলছে’! বিস্ফোরক দাবি সুকান্ত মজুমদারের
‘মালদহের কালিয়াচকে হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরণ চলছে’! বিস্ফোরক দাবি সুকান্ত মজুমদারের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এবার পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের মদতেই মালদহের কালিয়াচকে হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরণ চলছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর আরও অভিযোগ এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন কালিয়াচক থানার আইসি।

রবিবার অর্থাৎ আজ একটি ফেসবুক পোস্ট করেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে বেশকয়েকজন মহিলার ছবিও ছিল। পোস্টে দেখা গিয়েছে, কোনও প্ল্যাকার্ড হাতে মহিলারা রাস্তায় বসে। একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা , ‘কালিয়াচক থানার আইসি আমাদের মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বলছে। বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে যাতে আমরা মুসলিম হই। আমরা আমাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাই না।’ সেই পোস্টে আরও কিছু ব্যানারও রয়েছে। তার কোনটাতে দাবি করা হয়েছে, ধর্ম পরিবর্তনে রাজি না হওয়ায়, পুরুষদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেইসব প্ল্যাকার্ডের কোনটাতে আবার গ্রেফতার হওয়া স্বামীদের ফেরত চেয়েছে তাঁদের স্ত্রীরা। সেই ছবির সঙ্গে একটি বড় লেখাও পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

কী লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার সেই পোস্টে? বিজেপির রাজ্য সভাপতি পোস্টে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার IC সাহেব এলাকার কিছু গরীব হিন্দু পরিবারকে জোরপূর্বক ধর্ম পরিবর্তনের জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে, এরই প্রতিবাদে ধরনায় বসেন উক্ত পরিবারের মহিলা এবং শিশুরা। তাঁদের আরও অভিযোগ তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেপ্তার করে ধর্ম পরিবর্তনের চাপ দেওয়া হয়। এছাড়াও ঐ এলাকায় পূর্বে দুজন হিন্দুকে বলপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।  গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ সংবিধান অনুসারে চলে এবং সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদ ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে তার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারের। সেখানে একজন সরকারি পুলিশ অফিসার যিনি থানার ইন্সপেক্টর তিনি কীভাবে ধর্মান্তরিত হবার জন্য কোনো মানুষকে চাপ দিতে পারেন? এটা পুরোপুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

এখানেই থেমে জাননি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এর সঙ্গে আরও লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চাকরি নেই, শিল্প নেই, সুশাসন নেই, বাক্ স্বাধীনতা নেই এছাড়াও নানান সমস্যা আছে তাই বলে সাধারণ মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা টুকুও থাকবে না? এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে তৃতীয়বারের ক্ষমতালাভের পর কিছু নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতার অলিন্দে থেকে মুখোশের আড়ালে তাদের স্বার্থ কায়েম করতে চাইছে না তো? সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবারগুলোর অভিযোগ প্রশাসনকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে এবং দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। না হলে আগামিদিনে বিজেপি পথে নেমে এর প্রতিবাদ করবে।’

উল্লেখ্য, এই ধর্মান্তণের জন্য কালিয়াচকের আইসির উপর দায় চাপালেও, এ প্রসঙ্গে কালিয়াচকের আইসির কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।