বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

দীঘা-মন্দারমণিতে ঘোরার জন্য আর টোটোচালকদের উপর ভরসা নয়! নয়া উদ্যোগ নিল প্রশাসন

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২, ০৭:৩১ পিএম | আপডেট: জুন ৩০, ২০২২, ০১:৩১ এএম

দীঘা-মন্দারমণিতে ঘোরার জন্য আর টোটোচালকদের উপর ভরসা নয়! নয়া উদ্যোগ নিল প্রশাসন
দীঘা-মন্দারমণিতে ঘোরার জন্য আর টোটোচালকদের উপর ভরসা নয়! নয়া উদ্যোগ নিল প্রশাসন

বাঙালির কাছে ছুটি কাটানোর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির  অন্যতম দীঘা-মন্দারমণি। বিশেষ করে উইক এন্ডে অনেকেই ছুটি কাটাতে সমুদ্র সফরে যাওয়ার কথা ভাবেন। শুধু বাঙালিরাই নন, বাংলার বাইরেও বহু পর্যটক এসে ভীড় জমান দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর সহ একাধিক সমুদ্র সৈকতে৷ এবার সেই পর্যটকদের সুবিধার্থেই বিশেষ উদ্যোগ নিতে চলেছে প্রশাসন।

সাধারণত সমুদ্র সফরে এসে আশেপাশের এলাকা ঘুরে বেড়াবার জন্য অধিকাংশ সময়ই টোটো চালক বা গাড়িচালকদের উপর ভরসা করতে হয় পর্যটকদের। তবে অনেকক্ষেত্রে তা সুখকর হয় না। রাজ্যের অন্যান্য অধিকাংশ পর্যটন কেন্দ্রে আশেপাশে ঘুরে দেখার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইডের ব্যবস্থা থাকলেও দীঘায় এতদিন এমন ব্যবস্থা ছিল না। এবার সেই উদ্যোগই নিল প্রশাসন।

এবার থেকে সমুদ্র শহরে টোটো, অটো বা গাড়িচালকদের উপর ভরসা কমানোর জন্য রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির মতই প্রশিক্ষিত গাইডের ব্যবস্থা হতে চলেছে। এই সকল গাইড আগত পর্যটকদের পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরিয়ে দেখাবেন। ফলে আর টোটো বা গাড়িচালকদের উপর ভরসা করতে হবে না।

জানা গিয়েছে, উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে এই ধরনের প্রশিক্ষিত গাইডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রথম দফায মোট পাঁচটি ব্যাচে ১৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেখান থেকেই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে গাইড নিয়োগ করা হবে। গাইডদের উপর দায়িত্ব থাকবে, ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঘুরিয়ে দেখানো।

এই সকল প্রশিক্ষিত গাইডরা দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর, পাঁশকুড়ার ক্ষিরাইয়ের ফুলবাগান থেকে শুরু করে ময়নার রাজবাড়ি, তমলুক, মহিষাদল হলদিয়া, গেঁওখালি, পটাশপুর, ভগবানপুর, খেজুরি, দরিয়াপুরের কপালকুণ্ডলা সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখাবেন। পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্রগুলির বিস্তারিত তথ্য এবং ইতিহাসও পর্যটকদের সামনে তুলে ধরবেন তারা।