রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

একরত্তির সামনেই বধূকে ‘গণধর্ষণ’! বাগদায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ২ বিএসএফ জওয়ান

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২২, ১২:২১ পিএম | আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২২, ০৬:২১ পিএম

একরত্তির সামনেই বধূকে ‘গণধর্ষণ’! বাগদায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ২ বিএসএফ জওয়ান
একরত্তির সামনেই বধূকে ‘গণধর্ষণ’! বাগদায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ২ বিএসএফ জওয়ান / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সুরক্ষার দায়িত্ব যাঁদের উপর, তাঁদের বিরুদ্ধেই উঠল গুরুতর অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে পটল খেতে নিয়ে গিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিএসএফ-এর এক এএসআই ও এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা থানার জিতপুর সিমান্তে। শুক্রবার বিকেলে ওই মহিলা বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপর শুক্রবার সন্ধের দিকে পুলিশ অভিযুক্তদের ফ্রেফতার করে। আজই তাঁদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আলতাফ হোসেন এবং এস পি চেরো। এস পি চেরো বিএসএফ-এর এসআই পদে রয়েছেন। আর আলতাফ হোসেন বিএসএফ- এর কনস্টেবল। জানা গিয়েছে ধৃত দুইজন বিএসএফ- এর ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত। পুলিশ জানিয়েছে ২৩ বছরের এক মহিলা বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ জিতপুর সিমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।

সেই সময় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা তাকে আটকে দেয় এবং পাশের পটল খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। ঘটনার সময় ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর শিশুসন্তানও ছিল। ধর্ষণের আগে ওই দুই অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান যুবতীর সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে। ধর্ষিতা মহিলার বাড়ি বসিরহাটে। ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে বিএফএফ-এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বনগাঁ জেলা পুলিশের সুপার তরুণ হালদার বলেছেন, ‘মহিলার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু হয়েছে। বিএসএফের দুই জওয়ান গ্রেফতার হয়েছে। মহিলার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, এই ঘটনার জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছেন ওই নির্যাতিতা যুবতী। মানসিকভাবেও ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। বর্তমানে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মহিলার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই খবর। পাশাপাশি ওই মহিলার শিশুসন্তান এখনও ভয় পাচ্ছে। তাঁর চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সিমান এলাকার নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ল।

এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এর আগে কাশ্মীরে সেনার বিরুদ্ধে একাধিক এধরনের অভিযোগ ছিল। বেশিরভাগই মিথ্যে। তবে এই ঘটনাটি জানিনা সত্যি নাকি মিথ্যে যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে তা ভয়ংকর অপরাধ। উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।’