সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘দিদিমণি গিয়ে উল্টোপাল্টা হিন্দি বলে অখিলেশের দোকান বন্ধ করেছেন’! মমতাকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২২, ০৪:২২ পিএম | আপডেট: মার্চ ১০, ২০২২, ০৪:৫২ পিএম

‘দিদিমণি গিয়ে উল্টোপাল্টা হিন্দি বলে অখিলেশের দোকান বন্ধ করেছেন’! মমতাকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
‘দিদিমণি গিয়ে উল্টোপাল্টা হিন্দি বলে অখিলেশের দোকান বন্ধ করেছেন’! মমতাকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া ঝড় অব্যাহত। ফের একবার বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। ফের একবার উত্তরপ্রদেশের সিংহাসনে বসতে চলেছন যোগী আদিত্যনাথ। ২৭৬ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি ১২০ টি আসনে এগিয়ে। উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ বিধানসভা আসনের মধ্যে ক্ষমতায় আসতে ম্যাজিক ফিগার ২০২। যা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে পদ্মশিবির। এদিকে, গতবারের তুলনায় শতাংশের বিচারে ভোট বাড়লেও কার্যত কোণঠাসা সপা প্রধান অখিলেশ যাদব। 

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে অখিলেশকে সমর্থন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিলেশের হয়ে প্রচারও করেছেন। ভোটের আগে এই প্রচারে বারবার উত্তরপ্রদেশের যোগীর সমালোচনায় সরব হয়েছেন। হাথরস, গঙ্গায় দেহ ভাসানো প্রভৃতি নানা ইস্যুতে যোগী সরকারকে বিঁধেছেন নেত্রী। এবার ভোটের ফল সামনে আসতেই এই প্রসঙ্গেই এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করলেন না।  

এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সাংগঠনিক পার্টি অফিসে কর্মী সম্মেলনে এসে মমতাকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘দিদিমণি উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনে ওখানে গিয়েছিলেন। উনি হাথরসের গল্প বলেছিলেন, লখিমপুর খেরির গল্প বলেছিলেন। আর এই দুই জায়গায় বিজেপি সবকটি আসনে এগিয়ে আছে। মাঝখান থেকে দিদিমনি গিয়ে উল্টোপাল্টা হিন্দি বলে অখিলেশের দোকান বন্ধ করে দিয়ে এসেছেন।’

অন্যদিকে, পঞ্জাবের প্রসঙ্গে বলেন, ‘পাঞ্জাবে প্রথমবার বিজেপির নেতৃত্বে নির্বাচনে লড়াই হয়েছিল। মানুষ ভোট দিয়েছেন। আমরা কয়েকটা সিট পাব। কংগ্রেস ওখানে এত দিন রাজত্ব করেছে। পারিবারিক রাজনীতি করেছে। বারবার মুখ্যমন্ত্রী বদল করেছে। মূল সমস্যাগুলো সমাধান করেনি। তাই সাধারন মানুষ দিল্লিতে যেভাবে এক্সপেরিমেন্ট করেছে। একবার আপ-কে দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছে। আমার মনে হয় কংগ্রেসের যে ট্রেডিশনাল পলিটিক্স, পরিবারবাদ সেগুলো আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। ভারতবর্ষের যত দুর্নীতি, বিচ্ছিন্নতাবাদের জন্ম দিয়েছে কংগ্রেস।’

আবার গোয়ার নির্বাচনী ফল সম্পর্কে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন যে, ‘হাওয়াতে উড়ে গিয়ে কেউ যদি টাকা-পয়সা খরচ করেন, লোক ভাড়া করে যদি মনে করেন পার্টি দাঁড়িয়ে যাবে সেটা সম্ভব নয়। ত্রিপুরাতেও দেখেছি, এখান থেকে টাকাপয়সা, নেতা, লোকজন নিয়ে গিয়ে ওখানে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। গোয়াতে তৃণমূলেরই সহযোগী দল ৪-৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যদি বাই চান্স ছিটকে গিয়ে ওদের হাতে একটা সিট পড়ে তাহলে খুশি হবেন ওঁরা।’