রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

‘বীরভূমের বাঘকে খাঁচায় রেখেছ, বেরোলেই শিয়ালগুলো খাঁচায় ঢুকবে’! অনুব্রতকে নিয়ে হুঙ্কার ফিরহাদের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২২, ০৮:৪৩ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২, ০২:৪৩ এএম

‘বীরভূমের বাঘকে খাঁচায় রেখেছ, বেরোলেই শিয়ালগুলো খাঁচায় ঢুকবে’! অনুব্রতকে নিয়ে হুঙ্কার ফিরহাদের
‘বীরভূমের বাঘকে খাঁচায় রেখেছ, বেরোলেই শিয়ালগুলো খাঁচায় ঢুকবে’! অনুব্রতকে নিয়ে হুঙ্কার ফিরহাদের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তিনি বীরভূমের দাপুটে নেতা। এবার তাঁকে বাঘের সঙ্গেও তুলনা করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অনুব্রত গড় বীরভূমে দাঁড়িয়েই তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করলেন ফিরহাদ। কলকাতার মেয়রের স্পষ্ট বক্তব্য, বাঘের বিচরণক্ষেত্র থেকে সরলে, তখন সেখানে শিয়ালের ভিড় বাড়তে শুরু করে। তবে, তাতে কিছুই যায় আসে না। বাঘ ফের নিজের জায়গায় ফিরলে, শিয়ালরা আবারও সরে যায়।

শনিবার রামপুরহাটের বিষ্ণুপুর এলাকায় জনসভা অরেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘মমতা ছিলেন, মমতা আছেন, মমতা থাকবেন। লাফালাফি হচ্ছে। কখনও সিউড়িতে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে কেউ কেউ আসছে। কেউ কেউ এখানে আসছে, বীরভূমে একটু লাফালাফি করছে। টিভি চ্যানেলে দেখা যায় বনের বাঘ একদিক থেকে অন্যদিকে গেলে শিয়ালগুলো লাফালাফি করে। আবার যেই বাঘ আসে, শিয়ালও লেজ তুলে পালিয়ে যায়। বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছুদিনের জন্য খাঁচায় রেখেছ। সারা জীবন পারবে না। সেই বাঘ যখন আবার বেরিয়ে আসবে, আজকে যে শিয়ালগুলো হুক্কাহুয়া হুক্কাহুয়া করছে, তারা সব খাঁচায় ঢুকে যাবে।’

এর পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি। আদর্শগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসটা করি।’ তবে, এদিন অনুব্রতর পাশে দাঁড়ালেও, এদিন নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে আবারও উষ্মার সুর ফিরহাদের গলায়। তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেতা অন্যায় করেছে। সে আমাদের তার কাজে অপমান করেছে। নিশ্চিতভাবে আমরা লজ্জিত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তৃণমূলের সবাইকে চোর বলার অধিকার বিজেপির রয়েছে। বিজেপির থেকে বড় চোর ভারতবর্ষে আর কেউ নেই।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে গরু পাচার মামলায় আসানসোলের জেলেই বন্দী অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর গরু পাচার মামলায় নাম জড়ানো, গ্রেফতারি, নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তির হদিশকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে চর্চা অব্যাহত। কিন্তু তারপরেও তিনি নির্বিকার। জেলে বসেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি দলের অনুগত সৈনিক। তার প্রমাণ আগে একাধিকবার দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর গ্রেফতারি নিয়ে আগেও সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মুখে কেষ্টর প্রশংসা, এতদিন ধরে দলের প্রতি অনুব্রতর যে আনুগত্য দেখিয়েছেন, এই প্রশংসা তারই প্রতিদান।