শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা! কড়া নির্দেশ স্কুল শিক্ষা দফতরের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২, ০৫:৩০ পিএম | আপডেট: জুন ৩০, ২০২২, ১১:৩০ পিএম

গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা! কড়া নির্দেশ স্কুল শিক্ষা দফতরের
গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা! কড়া নির্দেশ স্কুল শিক্ষা দফতরের / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আর সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না। এমনকি কোনও কোচিং সেন্টারের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারবেন না। এক নির্দেশিকা জারি করে এমনটাই জানিয়েছে, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। 

সেই সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, এরপর থেকে শুধু গৃহশিক্ষকতা করাই নয়, কোনও ধরনের কোচিং সেন্টারেও পড়াতে পারবেন না সরকারি স্কুলের শিক্ষরা। এমনকি বিনা পারিশ্রমিকেও পড়াতে পারবেন না বাইরে কোথাও। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল যে, বিভিন্ন জেলায় জেলায় নিয়মের কোনও তোয়াক্কা না করেই সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা বাইরে পড়াচ্ছেন। বেশ কিছু অভিযোগ আসে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরে। এরপর সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে, এবার এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য শিক্ষা দফতর। 

এই নয়া নির্দেশিকায় কী কী বলা হয়েছে? এই সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, সরকারি স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা গৃহ শিক্ষকতা করতে পারবেন না। পাশাপাশি কোনও কোচিং সেন্টারের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারবেন না। এখানেই শেষ নয়, বিনা পারিশ্রমিকেও বাইরে কোথাও পড়াতে পারবেন না তাঁরা। 

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা রাজ্যের স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। ‍‍`রাইট অফ চিলড্রেন টু ফ্রি অ্যান্ড কমপালসারি এডুকেশন অ্যাক্ট, ২০০৯‍‍` সালের ২৮ নম্বর ধারা অনুসারে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এই সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, সরকারি সমস্ত স্কুল, মডেল স্কুলের শিক্ষকরা আর প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না। 

উল্লেখ্য, নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে, বিভিন্ন জেলায় স্কুল শিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা করছিলেন মোটা টাকার বিনিময়ে। মূলত এমনটাই ছিল অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে এই সরকারি নির্দেশিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিছুদিন আগেই পাঁচটি জেলার স্কুল পরিদর্শককে অ্যাকশন টোকেন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এক্ষেত্রে এই জেলাগুলির মোট ৬১ জন শিক্ষকের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তাঁদের গৃহশিক্ষকতা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি এই মর্মে তাঁদের মুচলেকাও জমা দিতে বলা হয়।

এদিকে, গৃহশিক্ষকদের একটা বড় অংশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, জেলায় শিক্ষকদের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই অনেকেই অভিভাবকরাই পড়ানোর জন্য রীতিমতো জোড়াজুড়ি করে থাকেন। যা অনেক ক্ষেত্রে না বলা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে সামান্য অর্থ নিয়ে অনেকেই গৃহশিক্ষকতা করেন।  

প্রসঙ্গত এটাই প্রথমবার নয়, যখন সরকারি তরফে স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। এর আগেও অতীতে সরকারি এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের টিউশন বন্ধ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু, এরপরেও বিভিন্ন জেলাগুলি থেকে শিক্ষকদের টিউশন করার অভিযোগ সামনে আসছিল। এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য শিক্ষা দফতর। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই নির্দেশের পরে কি আদৌ গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করা সম্ভব হবে?