বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২ দিনের জন্য হিঙ্গলগঞ্জ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই হিঙ্গলগঞ্জে সভা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর বুধবার অর্থাৎ আজ লঞ্চে করে ইছামতী ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই একসময় লঞ্চ চালান। এরপর লঞ্চে চেপে নদীর পাড়ের গ্রামে যান মমতা। সেখানেই খাঁপুকুর পঞ্চায়েত এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কচিকাঁচাদের সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় কাটান। প্রতি ক্লাসে ঢুকে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের হাতে তুলে দেন উপহার, নতুন পোশাক।
হাসনাবাদের খাঁপুকুরে প্রাথমিক স্কুলের কচিকাঁচাদের ক্লাসরুমে এদিন কার্যত দিদিমণির ভূমিকায় দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন ক্লাসরুমের দেওয়ালে নানা মনীষীদের টাঙানো ছবি দেখিয়ে, তাঁদের নাম জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের কাছে। শ্রেণীকক্ষের একদিকের দেওয়ালে ছিল কাজই নজরুল ইসলামের ছবি, আবার উল্টোদিকের দেওয়ালে টাঙানো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম বসু, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী এক এক করে মনীষীদের ছবি দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান পড়ুয়ারা তাঁদের চেনেন কিনা? তাঁদের নাম জানে কিনা? এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের কাছে জানতে চান, ভবিষ্যতে কে কী হতে চায়? উত্তরে কেউ বলে মাস্টারমশাই হতে চায়, কেউ আবার চিকিৎসক হতে চায়। ছোটদের এই জবাব শুনে ছোট্ট কথায় মুখ্যমন্ত্রীর উত্তর, ‘ভেরি গুড’।
এমন ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পাওয়া নতুন কোনও বিষয় নেই। এর আগেও বহুবার তিনি কচিকাঁচাদের সঙ্গে মিশেছেন। বাচ্চাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মিশে যাওয়ার ক্ষমতা সত্যি প্রশংসনীয়। সফরে প্রায়ই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চোকলেটের কৌটো থাকে। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বাচ্চাদের হাতে তাঁকে চকলেট তুলে দিতেও দেখা গিয়েছে। আবার একেবারে সদ্যোজাত বাচ্চাকেও তিনি পরম স্নেহে কোলে তুলে নিয়েছেন, এমন দৃশ্যও এর আগে একাধিকবার দেখা গিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :