সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪

আইনি বিয়ের পরেও বলপূর্বক ‘গর্ভপাত’, স্ত্রীর মর্যাদা পেতে হয়রানি! তুমুল চাঞ্চল্য এলাকায়

চৈত্রী আদক | তনুজ জৈন

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২২, ০৮:৪৩ পিএম | আপডেট: মে ১০, ২০২২, ০২:৪৩ এএম

আইনি বিয়ের পরেও বলপূর্বক ‘গর্ভপাত’, স্ত্রীর মর্যাদা পেতে হয়রানি! তুমুল চাঞ্চল্য এলাকায়
আইনি বিয়ের পরেও বলপূর্বক ‘গর্ভপাত’, স্ত্রীর মর্যাদা পেতে হয়রানি! তুমুল চাঞ্চল্য এলাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদন, মালদা: প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এক যুবতীর সঙ্গে সহবাস করেন এলাকারই এক যুবক। তাঁদের মধ্যে আইনি বিবাহও সম্পন্ন হয়। এরপর যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত ঘটে। যুবতীকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে নারাজ যুবক। এমনকি বলপূর্বক ওই যুবতীকে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় মালদার চাঁচোল।

সূত্রের খবর, মালদার চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের ইসমাইলপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবতী। বছর ছয়েক আগে এলাকারই এক যুবক রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন তাঁরা দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। জানা গিয়েছে, রাকিবুল সম্পর্কে মালদার জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেনের ভাগ্নে। এরপর ২০১৯ সাল নাগাদ রাকিবুল ও ওই যুবতীর মধ্যে আইনি বিবাহ সম্পন্ন হয়।

যুবতীর অভিযোগ, তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছেন না রাকিবুল। নানান অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমনকি জোর করা হলে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও কয়েকদিন আগে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে উঠলে ছেলের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মারধর ‌করে। যদিও রাকিবুলের পরিবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এছাড়াও যুবতীর অভিযোগ, রেজিস্ট্রির পরও একাধিকবার বাইরে গিয়ে তাঁরা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এরপর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রীতিমতো জোর করে তাঁর গর্ভপাত করানো হয়। এই বিষয়ে বারংবার ছেলের বাড়ির লোকের সাথে কথা বলে মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনওরকম সহায়তা করা হচ্ছে না।

এরপর সোমবার সভাধিপতির বাড়ির সামনে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ দেখান যুবতীর পরিবার ও গ্রামের লোকজন। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, রফিকুল সম্পর্কে আত্মীয় হওয়ায় সভাধিপতি ব্যাপারটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও রফিকুল হোসেন অন্য কথা বলেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, “ছেলেপক্ষ আমার দুঃসম্পর্কের আত্মীয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে যুবতীর পরিবারের লোকজনের কাছে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমার আবেদনে সাড়া দেননি। উল্টে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। ওরা ভালোবাসা থেকে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেছে। যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হবে। বর্তমানে মেয়ের পরিবার অযথা হৈ-হুল্লোড় করছেন। তাঁদের ভাবা উচিত কীভাবে তাদের ভালোবাসা বেঁচে থাকবে।”