শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সদ্যোজাতকে ‘খুন’, অভিযোগের তীর জেঠিমার দিকে! বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার দেহ

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২২, ০৬:১৫ পিএম | আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২২, ১২:১৫ এএম

সদ্যোজাতকে ‘খুন’, অভিযোগের তীর জেঠিমার দিকে! বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার দেহ
সদ্যোজাতকে ‘খুন’, অভিযোগের তীর জেঠিমার দিকে! বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার দেহ / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন এক মহিলা। সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পরের দিনই নিখোঁজ হয়ে যায় একরত্তি। টানা দু‍‍`দিন খোঁজাখুঁজির পর সদ্যজাতর দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর শিশুটির জেঠিমার দিকে। ইতিমধ্যেই ওই মহিলা সহ অপর এক প্রতিবেশী মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।

এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার ২০ নম্বর শ্রীনাথ পোড়েল লেনে। গত ১ আগস্ট পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সামা পারভিন নামের এক মহিলা। এরপর ৩ আগস্ট শিশুটিকে নিয়ে হাওড়ার বাড়িতে ফেরেন তিনি। সেদিন রাতে সন্তানকে পাশে নিয়েই ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু পরের দিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন নিখোঁজ দুধের সন্তান। বাড়ির সর্বত্র তন্ন তন্ন করে খোজার পরও শিশুটির খোঁজ মেলেনি। এরপরই শিশুটির পরিবার হাওড়া থানার দারস্ত হয়।

এরপর আজ অর্থাৎ শনিবার রান্নাঘরে থাকা জলের ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। কল থেকে জলের পরিবর্তে বের হতে থাকে রক্ত। এরপর ট্যাঙ্ক খুলতেই প্রকাশ্যে আসে হাড় হিম করা দৃশ্য। দেখা যায়, ট্যাঙ্কের একেবারে নিচের দিকে পড়ে রয়েছে একরক্তির মৃতদেহ। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।

গোটা ঘটনায় আঙ্গুল ওঠে শিশুটির জেঠিমার দিকে। জানা যায়, শিশুহত্যার নেপথ্যে জেঠিমা ছাড়াও এক মহিলা ভাড়াটিয়া এবং তার ছেলেরও হাত রয়েছে। ইতিমধ্যেই তাদের আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত খুনের কথা স্বীকার করেননি অভিযুক্তা। এমনকি ঠিক কী কারনে খুন সেই বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা পাননি তদন্তকারীরা।

তবে খুনের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। খুনের নেপথ্যে পারিবারিক বিবাদের জেরও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এছাড়াও জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন আগে মারা যান অভিযুক্তার স্বামী। সেই থেকেই দেওরের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলে তিনি। তাই দেওরের পুত্র সন্তান হওয়ায় বিষয়টি তিনি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি। সেই কারণেই দুধের শিশুকে খুন করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

অন্যদিকে উঠে আসছে আরও একটি তত্ত্ব। অভিযুক্তা এক কন্যা সন্তানের মা। কিন্তু জা পুত্র সন্তানের জন্ম দেওয়ায় আক্রোশ তৈরি হয়। আর সেই আক্রোশ থেকেই সদ্যোজাতকে খুন করেন জেঠিমা। যদিও সবটাই তদন্তকারীদের ধারণা। তদন্ত যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত খুনের নেপথ্যে আসল কারণ কী তা জানা যাচ্ছে না।