সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

পরকীয়া সম্পর্কের ভয়াবহ পরিণতি! প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে পিটিয়ে ‘খুন’ প্রেমিকার

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২২, ০২:৫১ পিএম | আপডেট: মে ৩০, ২০২২, ০৮:৫১ পিএম

পরকীয়া সম্পর্কের ভয়াবহ পরিণতি! প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে পিটিয়ে ‘খুন’ প্রেমিকার
পরকীয়া সম্পর্কের ভয়াবহ পরিণতি! প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে পিটিয়ে ‘খুন’ প্রেমিকার / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রেমিকার হাতে খুন হলেন প্রেমিক। দুজনের ঘনিষ্ঠ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়েছিলেন প্রেমিক। অভিযোগ, এর ফলেই আরও তিন জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে খুন করেন প্রেমিকা। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য হাড়োয়া গোপালপুর সাহাপাড়ায়। খুনের পর দেহ লোপাটের অভিযোগও ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। এরপর প্রেমিকা সহ ওই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম স্বরূপ প্রামানিক(২৭)। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্বরূপের সঙ্গে অভিযুক্ত প্রেমিকা‌ চম্পা রুইদাসের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার গোপালপুরের অন্তর্গত সাহাপাড়ার বাসিন্দা চম্পার সঙ্গে ১১ বছর আগে আসানসোলের বাসিন্দা গৌতম রুইদাসের বিবাহ হয়। গৌতম পেশায় অটোচালক। জানা গিয়েছে, তাঁর বন্ধুই হলেন স্বরূপ প্রামানিক। এমনকি বন্ধুর বাড়িতে স্বরূপের প্রায়শই যাতায়াত ছিল।

অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অবাধ যাতায়াতের জন্যই স্বরূপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে চম্পার। এরপর স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনে যান গৌতম। সেই থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। অশান্তি এড়াতে চম্পা তাঁর প্রেমিক স্বরূপের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ চান এবং তাঁকে বাড়িতে আসতে বারণ করে দেন।

এরপর থেকে স্বরূপ প্রামানিক চম্পাকে ভয় দেখাতে শুরু করেন। স্বরূপ বলেন, তাঁদের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের গোপন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিক করে দেবেন। উপায় না পেয়ে স্বরূপের হাত থেকে নিস্তার পেতে তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করেন চম্পা। পরিকল্পনায় চম্পার স্বামী গৌতম, বাবা খোকন সাহা ও দিদি চৌতালি সাহাও শামিল হন।

জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি যান চম্পা। শনিবার স্বরূপকে ফোন করে ডেকে আনেন বাপের বাড়িতেই। স্বরূপ চম্পার হাড়োয়ার গোপালপুরের বাড়িতে পৌঁছলে তাঁর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন চম্পারা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধও করা হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ লোপাট করতে স্বরূপের দেহটি একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে বাড়ির পেছনেই একটি নির্জন আম বাগানের মধ্যে দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।

পুরো বিষয়টি চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তড়িঘড়ি তারা খবর দেন হাড়োয়া থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে বস্তায় মোড়া অবস্থায় যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ইতিমধ্যেই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেমিকা চম্পা রুইদাস, তাঁর স্বামী গৌতম রুইদাস এবং তাঁর দিদি ও বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।