শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

চিকিৎসকের ইগোর কারণে মৃত্যু ঐন্দ্রিলার! বিস্ফোরক দাবি অভিনেত্রীর মায়ের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২২, ০৯:১৬ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৩:২৮ এএম

চিকিৎসকের ইগোর কারণে মৃত্যু ঐন্দ্রিলার! বিস্ফোরক দাবি অভিনেত্রীর মায়ের
চিকিৎসকের ইগোর কারণে মৃত্যু ঐন্দ্রিলার! বিস্ফোরক দাবি অভিনেত্রীর মায়ের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা প্রয়াত হয়েছেন বেশ কিছুদিন হয়েছে। এবার বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রীর মা এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। চিকিৎসকের ইগোর জন্যই অসময়ে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা? এমনই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা।

সম্প্রতি অভিনেত্রীর স্মরণ সভায় যোগ দিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শিখা শর্মা। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েকে বাঁচানো যেত। শুধুমাত্র একজন চিকিৎসকের জন্যই সেটা সম্ভব হল না। উনি দায়িত্ব নিয়ে আমার মেয়েকে ডিপ কোমায় পাঠিয়ে দিলেন।’ এখানেই শেষ নয়, শিখা শর্মা সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসকের দিকে, অভিনেত্রীর মায়ের কথায়, ‘আমার পাশে শুয়ে ছিল মেয়েটা। ১০ মিনিটের মধ্যেই সব শেষ হয়ে গেল। হাত, পা নাড়াতে পারছিল না। ব্রেন স্ট্রোক…।’

শিখা আরও বলেন, ‘ওকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সার্জারি হয়েছিল। ডা. মল্লিক সাফল্যের সঙ্গে ওই অপারেশন করেন। অমায়িক মানুষ উনি। আমাদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু, একজন আমার মেয়েটাকে বাঁচতে দিল না।’ জাতীয় বীমা কর্মচারীদের পক্ষ থেকে শনিবার ঐন্দ্রিলা শর্মার স্মরণে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিখা শর্মা। প্রথমবার ঐন্দ্রিলার মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ জানালেন শিখাদেবী। 

জিয়ন কাঠি-খ্যাত প্রয়াত অভিনেত্রীর মায়ের দাবি, তাঁরা বাইরে থেকে চিকিৎসক আনছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত মহিলা চিকিৎসকের সেই বিষয়টি একেবারেই পছন্দ হয়নি। সেই কারণেই তিনি অসহযোগিতা শুরু করেন। শিখা শর্মার কথায়, ‘ওই হাসপাতালের বাকি স্টাফরা ভালো। নার্সিং স্টাফ সত্যিই খুব ভালো। সকালে ঐন্দ্রিলার যত্ন নিয়েছিল। ধীরে ধীরে জ্ঞান ফেরে ওর। কিন্তু ওই একজন সব তছনছ করে দিলেন।’

প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মায়ের আরও সংযোজন, ‘আমি সবসময় এই কথাটা বলব। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আমার মেয়ে বাঁচত। ওর হার্ট খুব স্ট্রং ছিল। লিভার, ফুসফুস সব ভালো ছিল। দু‍‍` বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলেই মানুষ মারা যায়। সেই জায়গায় ১০ বারের ধকল নিয়েছিল ও। সঠিক চিকিৎসা হলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হত না। আর হলেও রিভাইব করত ও।’

অভিনেত্রীর মা জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলার মস্তিষ্কে সার্জারি হওয়ার পর জ্ঞান ফিরেছিল অভিনেত্রীর। প্রথমদিকে চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু, নির্দিষ্ট এক মহিলা চিকিৎসকের দোষে প্রথমে কোমা এবং পরে ডিপ কোমায় চলে যান অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘MRI করার সময়েই অসুবিধা হয়েছিল। অতটা সময় লাগিয়ে দিল। এই ধকল আমার মেয়ে নিতে পারল না। MRI রিপোর্ট কিন্তু ভালো এসেছিল। ব্রেন সার্জারি সফল হল। কিন্তু, ওই একজনের ইগোতে সব শেষ।’

তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘আমরা মেয়েকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। ফলে আমরা অন্য ডাক্তার আনছিলাম। তবে উনি অনেক কিছুর অনুমতি দেননি। আমার বড় মেয়েও ডাক্তার। ও অনুরোধ করল। তবু কিছু শুনলেন না। উনি মানুষ কিনা জানি না। একজন ৮০ বছরের রোগীর ক্ষেত্রে এমন করলে, তাও মানা যায়। কিন্তু, একটা ২৪ বছরের মেয়ের চিকিৎসার চেয়ে ইগো বড়?’