শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

নতুন কিছু করাই সবচেয়ে বড় আনন্দ! একনজরে শিল্পপতি রতন টাটার অনুপ্রেরণামূলক ‍‍`মন্ত্র‍‍`

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২, ০৯:১৭ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৩:১৭ এএম

নতুন কিছু করাই সবচেয়ে বড় আনন্দ! একনজরে শিল্পপতি রতন টাটার অনুপ্রেরণামূলক ‍‍`মন্ত্র‍‍`
নতুন কিছু করাই সবচেয়ে বড় আনন্দ! একনজরে শিল্পপতি রতন টাটার অনুপ্রেরণামূলক ‍‍`মন্ত্র‍‍`

দেশের মানুষের কাছে আবেগের অপর নাম শিল্পপতি রতন টাটা (Ratan Tata)। বিপদে-আপদে সবসময় তাঁকে দেশের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়। টাটা চ্যারিটেবল ট্রাস্টের (Tata Charitable Trust) মাধ্যমে সারাবছরই বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকেন তিনি। করোনা মহামারির সময়েও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন দেশের অন্যতম সেরা এই শিল্পপতি।

দেশের অন্যতম বড় শিল্পপতি হওয়ার পরেও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বেশ কিছু স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে ওলা ইলেকট্রিক, পেটিএম, কার দেখো, স্ন্যাপ ডিল, আরবান কোম্পানি, লেন্সকার্টের মতো বিভিন্ন সংস্থা।

এবার সম্প্রতি তাঁর একটি বক্তৃতার একটি অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে রতন টাটা কিসে অনুপ্রাণিত হন এবং নিজের সব থেকে বড় আনন্দের বিষয়ে কথা বলেছেন।  ৮৪ বছর বয়সী বিজনেস টাইকুন বলেছেন, সবাই যেখানে বলেন, করতে পারেননি কিংবা করা যায়নির মতো শব্দ, সেখানে তিনি আনন্দ পান কিছু করার চেষ্টা করে।

আরপিজি এন্টার প্রাইজের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কা তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে রতন টাটার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানেই শোনা গিয়েছে, রতন টাটার বক্তব্য। দেশের শীর্ষে থাকা অন্যতম সফল শিল্পপতির এমন নম্র বার্তা এবং তার অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য ইন্টারনেটের হৃদয় জয় করেছে। সাধারণত তাঁকে লেজেন্ড বলেই ডাকা হয়। রতন টাটার এই ভিডিও কমেন্ট বক্সে অসংখ্য প্রতিক্রিয়ায় সমৃদ্ধ হয়েছে।

রতন টাটার অনুপ্রেরণামূলক মন্ত্র

জীবনে উত্থান-পতন আমাদের এগিয়ে রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেমন ইসিজি। এখানে যদি একটি সরল রেখা চলে আসার অর্থ সে বেঁচে নেই।
যদি কেউ দ্রুত হাঁটতে চাও, তাহলে একা হাঁটো। আর যদি অনেক দূরে হাঁটতে চাো , তবে একসঙ্গে চলো।
যদি লোকের ঢিল ছোঁড়ে তবে তা সংগ্রহ করে রাখো। একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে ব্যবহার করা যাবে।
লোহাকে কেউ ধ্বংস করতে না পারলেও, মরচে লোহাকে শেষ করে দেয়। সেরকমই কেউ একজন মানুষকে ধ্বংস করতে পারে না, কিন্তু তার মানসিকতা তা করতে পারে।
কেউ রাস্তায় কিছু লোককে আঘাত করতে পারেন, তবে তিনি এমন একজনকে দেখতে চান, যিনি যে কোনও পরিস্থিতির মধ্যে আপাস না করে সঠিক কাজ করার জন্য চেষ্টা করেছেন।