বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

পুলিশ আবার সুপারমডেলও! সিকিমের একশা চালান সুপার বাইক, করেন বক্সিংও! দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ১১:৫২ এএম | আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২২, ০৫:৫২ পিএম

পুলিশ আবার সুপারমডেলও! সিকিমের একশা চালান সুপার বাইক, করেন বক্সিংও! দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা
পুলিশ আবার সুপারমডেলও! সিকিমের একশা চালান সুপার বাইক, করেন বক্সিংও! দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা

বর্তমানে সারা বিশ্বে ভারতীয় নারীশক্তির জয়জয়কার। শিক্ষা থেকে শিল্প, খেলার ময়দান থেকে বানিজ্য জগত বা রাজনীতির আঙিনা, কোনও খানেই পিছিয়ে নেই ভারতীয় নারীরা। বরং পুরুষতান্ত্রিকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত তারা। তেমনই এক নারীর কাহিনী তুলে ধরব আজ, যিনি পেশায় একজন পুলিশ অফিসার৷ পাশাপাশি তিনি একাধারে সুপারমডেল, বাইকার ও বক্সারও৷

সিকিমের তরুণী ২১ বছর বয়সি একশা হাংমা সুব্বা ওরফে একশা কেরুং৷ তিনি একদিকে পুলিশ, অন্যদিকে একজন সুপারমডেল। পাশাপাশি তিনি বক্সিংও করেন, চালান সুপার বাইকও। একজন বড় পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার হলেও মডেলিং এবং গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড সবসময় আকর্ষণ করে তাঁকে। ঠিক সেই জায়গা থেকেই সুপার মডেল হওয়ার জার্নি শুরু একশার।

ছেলেবেলাতেই  কমব্যাট স্পোর্টসের সঙ্গে পরিচিত হন রুমবাক গ্রামের বাসিন্দা একশা। বাবার চেষ্টায় গ্রামেই বক্সিং প্রশিক্ষণ শুরু তাঁর। শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণের ক্লাসে বাবার কথাতেই তিনি যোগ দেন৷ জাতীয় স্তরের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে সিকিমের প্রতিনিধিত্বও করেছেন একশা। পাশাপাশি ছিল বাইকে প্রতি ভালোবাসা৷ একশার দুই ভাইকে বাইক চালানো শেখাতেন তাঁর বাবা৷ সে সময়ই ভাইদের সঙ্গে বাইক চালানো শেখেন একশাও৷ মেয়ের আগ্রহ দেখে বাধা দেননি বাবা৷ আর বাবার উৎসাহেই বক্সিংয়ের পাশাপাশি বাইক চালানোও রপ্ত করে নেন সিকিমের এই দুরন্ত তরুণী।

২০১৯ সাল থেকে তিনি সিকিম পুলিশের সঙ্গে যুক্ত। ১২ মাসের কঠোর প্রশিক্ষণের পর একশা নিযুক্ত হন স্টেট রিজার্ভ লাইনে৷  বর্তমানে সিকিম পুলিশের একজন বড় পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার তিনি। তিনিই তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী৷ তবে পুলিশের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁর আরও একটি স্বপ্ন ছিল৷ এমটিভি সুপারমডেল হওয়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর৷ অফিসের সিনিয়রদের উৎসাহেই তিনি এই শো-এ অংশ নেন৷ একশা এমটিভি সুপার মডেল অফ দ্যা ইয়ার সিজন ২ এর একজন প্রতিযোগিনী রূপে উঠে আসেন এবং সেখানে নবম স্থান অর্জন করেন।

পুলিশ অফিসার, বাইকার এবং একজন বক্সার হওয়া সত্বেও একশার এখন প্রধান লক্ষ্য একজন সুপার মডেল হওয়া। তিনি দুনিয়াকে দেখিয়ে দিতে চান, এমন কোন জিনিস নেই যেটা মেয়েরা করতে পারে না। তবে একাধিক দক্ষতার অধিকারিণী হলেও একশা কিন্তু প্রত্যেকে স্থানে নিজের পরিচয় নিয়ে স্বতন্ত্র৷ তিনি যখন মডেলিং করেন তখন তিনি মডেল, আবার যখন তিনি পুলিশকর্মীর ভূমিকায়, তখন দায়িত্ব সহকারে সেই কাজই পালন করেন।

পুলিশ এবং মডেল হিসেবে তিনি যা ভালবাসা পেয়েছেন তাতে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন একশা৷ তাঁর কৃতিত্বে অভিভূত শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রাও৷ আর এই দেশের কন্যাকে নিয়ে ভারতবাসীরও গর্বের শেষ নেই। সকলের কাছেই যেন একশা হয়ে উঠেছেন অনন্য এক অনুপ্রেরণা।