শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

কেউ নেহরুর জামানা দেখাচ্ছেন, কেউ ‘বহিষ্কার’-এর কথা বলছেন! রাহুলের চিন মন্তব্যে পাল্টা চাপ BJP-র

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২২, ০৮:০৪ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ১৮, ২০২২, ০২:০৪ এএম

কেউ নেহরুর জামানা দেখাচ্ছেন, কেউ ‘বহিষ্কার’-এর কথা বলছেন! রাহুলের চিন মন্তব্যে পাল্টা চাপ BJP-র
কেউ নেহরুর জামানা দেখাচ্ছেন, কেউ ‘বহিষ্কার’-এর কথা বলছেন! রাহুলের চিন মন্তব্যে পাল্টা চাপ BJP-র

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর অতি সাম্প্রতিকের চিন-মন্তব্য নিয়ে শনিবারও কংগ্রেস নেতাকে আক্রমণ অব্যাহত বিজেপির। শুক্রবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর রাহুলকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়, যিনি দেশের ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার এলাকা হারিয়েছিলেন ইন্দো-চিন যুদ্ধে।’ শুক্রবার রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌরের ওই মন্তব্যের পরে এদিনও আক্রমণের ধারা বজায় রাখল গেরুয়া শিবির। এদিন বরং আরও একধাপ এগিয়ে বলা হল, রাহুলকে কংগ্রেস দল থেকেই বহিষ্কার করা উচিত।

শুক্রবারই রাজস্থানের জয়পুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী দাবি করেন, চিন ‘যুদ্ধের জন্য’ প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এরপরেও ভারত সরকার ‘ঘুমে’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। রাহুলের এই মন্তব্যের পরেই তাঁর সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি কড়া হয় যে, রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি ‘নষ্ট’ হয়েছে এবং ভারতীয় সেনার মনোবল ‘ধাক্কা’ খেয়েছে।

রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপির এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, ‘যদি মল্লিকার্জুন খড়্গে গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত সভাপতি না হয়ে থাকেন, তবে ওই মন্তব্যের জন্য রাহুলকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশের সেনা। সংসদে বিরোধীরা এই বিষয়ে সরকারের বিবৃতি দাবি করেছিল। তার প্রেক্ষিতে সংসদে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আমাদের কোনও সেনার মৃত্যু হয়নি। দু-পক্ষেরই কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে কারও আঘাত গুরুতর নয়।’ পাশাপাশি সেনাদের কাজকর্মের প্রতি স্যালুট জানিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমাদের সীমান্ত রক্ষা করতে আমাদের সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি নিশ্চিত যে, আমাদের সেনাদের সাহসী পদক্ষেপ এবং সমবেত সমর্থনের উপরই আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি।’

তিনি আরও জানিয়েছিলেন চিন বিনা প্ররোচনায় সীমান্তের অনুপ্রবেশের এবং দখলদারির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনা তা তৎপরতার সঙ্গে এবং সাহসের সঙ্গে তা রুখে দেয়। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেছিলেন বিবৃতিতে যে, ‘চিনকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে। চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। ভারতীয় কম্যান্ডারদের সময়মতো পাল্টা আক্রমণে পিএলএ সেনারা পিছু হটেছে। ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে স্থানীয় কম্যান্ডার তাঁর প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ফ্ল্যাগ মিটিং করেছেন।’ এরপর রাহুলের মন্তব্যের নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি কংগ্রেস সাংসদের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেছে, ‘এরপরেও তাঁর দল রাহুলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করলে বুঝতে হবে, কংগ্রেসও একই রকম চিন্তাধারায় বিশ্বাস করে।’