শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘২০৩৬ সালে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? কুণাল ঘোষের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ২, ২০২২, ০৭:২৪ পিএম | আপডেট: মে ৩, ২০২২, ০১:২৪ এএম

‘২০৩৬ সালে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? কুণাল ঘোষের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা
‘২০৩৬ সালে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? কুণাল ঘোষের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০৩৬ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ আজ থেকে ঠিক ১৪ বছর পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পেতে চলেছে রাজ্যবাসী। এমনটাই জোরালো দাবি শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মুখে। শাসক দল হিসেবে তৃণমূলের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সোমবার নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এমনটাই বক্তব্য রাখেন তিনি। এর পাশাপাশি সাংবাদিক সম্মেলনেও এই দাবি তোলেন কুণাল ঘোষ।

এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আত্মসমালোচনার জায়গায় গুরুত্ব দিতে হবে। দল বড়, সরকার বড়, আরও জয়, আরও দায়িত্ব, আরও কাজ, কর্মযজ্ঞ চলছে। ৯৯ শতাংশ কাজ ভালো। ১ শতাংশ  ভুল থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং হবে। যে কর্মী, সমর্থক, সংগঠকরা ২০২১-এর চরম ঝুঁকির যুদ্ধে জান কবুল লড়াই দিয়েছেন, তাঁদের সম্মান, মর্যাদা, অধিকারবোধ সত্যিই স্বতন্ত্র। দলে রাজনৈতিক সচেতনতাটাকেই অগ্রাধিকার দিন। দেওয়া হয়।"

এর পাশাপাশি কুণাল ঘোষ লিখেছেন, “বাংলার মানুষ তৃণমূলকে ভালোবাসেন। বিরোধীদের প্রত্যাখ্যান করেন। আমাদের দলের মধ্যে থেকেই কোনও ভুলে ওদের হাত শক্ত হতে দেবেন না। ফেসবুক, ট্যুইটার একদিন বন্ধ থাকলে বিরোধী দলগুলো উঠে যাবে। ওরা দেউলিয়া রাজনীতির খাঁচায় আটকে। তাই উপসংহার একটাই। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা তৃণমূল কংগ্রেস ভরসা।”

এছাড়াও তাঁর সংযোজন, “২০২১-এর লড়াই তৃণমূলকে অনেক পরিণত করেছে। উচ্চতা দিয়েছে। মানুষ চিনিয়েছে। বিপদ বুঝিয়েছে। আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রিত্বে জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে ভারতে নজির গড়বেন মমতাদি।”

তাঁর মতে সকলের মাথার ওপর রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের লিডার, প্রাণ, মুখ এবং শেষ কথা হলেন মুখ্যমন্ত্রী। দলে রয়েছেন তরুণ তুর্কি, ক্যাপ্টেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছেন নেতা, কর্মী, সমর্থক, সর্বোপরি তৃণমূল পরিবার। সবশেষে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুর্নিশ জানান এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।